রাজ্যের চাপে আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের

0

Last Updated on June 26, 2022 6:23 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। গত কয়েক দশক ধরে ঘাটালের বন্যা রাজ্য প্রশাসনের কাছে মাথা ব্যথার কারণ।

প্রতিবছর বর্ষায় বানভাসি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের এই অংশ। গত বছর বন্যার সময়ে ঘাটালের দুরবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জলে নেমে জলবন্দি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সফরেই মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের আবেদন কেন্দ্রের কাছে জমা করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফের একবার নবান্ন চিঠি দেয় কেন্দ্রকে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সাংসদ ও মন্ত্রীরা। এর আগেও একাধিকবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে কেন্দ্রের কাছে দরবার, সংসদের ভেতরে ও বাইরেও এই বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয় তৃণমূল।

প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটি দ্বিতীয় দফায় এক্ষেত্রে অ্যাপ্রুভাল দিয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে। যদিও কেন্দ্রের ওপর ভরসা না করে, মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে একক চেষ্টায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করবে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে যিনি কখনো সংসদে কিংবা কখনো বিধানসভায় সরব হয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যের জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, কেন্দ্র এখনও একটি টাকাও দেয়নি। শুধুমাত্র ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটি এই প্ল্যান এর ক্ষেত্রে অ্যাপ্রভাল দিয়েছে মাত্র। ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) আগে টাকা দিক, তারপর ওদের ওপর বিশ্বাস করব, তার আগে নয়। মানস ভুঁইয়ার পরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার জন্য একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে সরব হয়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে বন্যার সময় বিপর্যয় রুখতে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। শনিবার কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক অনুমোদন পাওয়া গেলেও রাজ্যে প্রশাসন যতক্ষণ না আনুপাতিক হারে বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্র থেকে পাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর বিশ্বাস করতে পারা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্পের ৬০ শতাংশ খরচ বহন করবে কেন্দ্র এবং বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ দেবে রাজ্য। ফ্লাড মেনেজমেন্ট এন্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম এর অধীনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আসার জন্য রাজ্যকে প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র।

এই প্রস্তাবে রাজি হয় রাজ্য, তবে শর্ত হল প্রকল্পের ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করবে কেন্দ্র এবং বাকিটা দেবে রাজ্য। তবে অন্ততপক্ষে ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পরে প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের বরাদ্দ ৬০ শতাংশ অর্থের মধ্যে কিছু টাকা যদি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়ে দেয়, তবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here