Last Updated on April 22, 2021 11:10 PM by Khabar365Din
গুজরাতকে কেন্দ্রের রেমডেসিভির যােগান ১.৬৩ লক্ষ, বাংলাকে ২৭ হাজার
৩৬৫ দিন। এবার জীবনদায়ী ওষুধ ও অক্সিজেন নিয়েও পক্ষপাতিত্বের আঙ্গুল উঠল কেন্দ্রের ভাজপা সরকারের বিরুদ্ধে। যখন কোভিড ভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ঢেউয়ে বেসামাল দেশ, প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার রেকর্ড ভাঙছে, সেখানে নিজের রাজ্য গুজরাতকে বাঁচাতে বেশি পরিমান জীবনদায়ী রেমডেসিভির বরাদ্দ করার অভিযোগ উঠল মোদির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে জনসংখ্যা বেশি হওয়া সত্বেও বাংলায় এই ওষুধ বরাদ্দ তুলনামূলক ভাবে অস্বাভাবিক কম। একই ভাবে বঞ্চিত রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্য। শুধু রেমডেসিভির ওষুধ নয়, অক্সিজেনের বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সরাসরি মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা। তিনি সরাসরি আদালতকে জানিয়েছেন, একই কোভিড পরিস্থিতি হওয়া সত্বেও রাজস্থানের মানুষের জন্য মোদি অক্সিজেন পাঠিয়েছেন ১২৪ টন। সেখানে নিজের রাজ্য গুজরাতে অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে ১২০০ টন।অথচ সংক্রমণের শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্থান অন্যতম। এই ধরণের পক্ষপাত আগে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণে দেখা যায়নি, বলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কার নির্দেশে একই কোভিড পরিস্থিতি হওয়া সত্বেও গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ আর উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেন ও ওষুধ বেশি দেওয়া হচ্ছে, আর বিরোধী রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চায়নি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোভিডের জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসিভির যেখানে গুজরাতের জন্য ১,৬৩,৫০০ পাঠানো হয়েছে সেখানে মধ্যপ্রদেশ, বাংলা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, রাজস্থান সহ একদিক বিরোধী রাজ্য পাঠানো হয়েছে যথাক্রমে, ৯২৪০০, ২৭৪০০,৫৮৮০০, ১৩৪০০,২৬৪০০ ওষুধ। গুজরাতের জনসংখ্যার তিন গুণ বাংলার, অথচ ওষুধের বেলায় তা গুজরাতের থেকে ৭০ শতাংশ কম পাচ্ছে বাংলা। কেন এমনটা হচ্ছে, তার কোনও জবাব বা ব্যাখ্যা দিতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোনও ব্যাখ্যা ও যুক্তি ছাড়াই মহারাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় কম রেমডেসিভির পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, এই অভিযোগে মুম্বাই হাইকোর্টে মামলা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তারা পরিষ্কার জানতে চেয়েছে কোন ব্যাখ্যায় এই ওষুধ এবং অক্সিজেন সরবরাহর সংখ্যা নির্ধারণ করছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে নাগপুর বেঞ্চ কেন্দ্রকে এই হিসাবের ব্যাখ্যা চেয়েছে। শুধু তাই নয়, আদালতের বিশেষ বেঞ্চ বলেছে, যদি দেশের মোট আক্রান্তের ৪০ শতাংশ মহারাষ্ট্রে হয়, সে ক্ষত্রে ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রেও একই পরিমান বজায় রাখতে হবে। গত কয়েকদিনে মুম্বাই হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যেকের বিভিন্ন রায়ে স্পষ্ট যে কেন্দ্র এই প্যান্ডামিক পরিস্থিতি সামলাতে সম্পুর্ন ব্যর্থই শুধু নয়, কেন্দ্রের প্রতিটি পদক্ষেপ ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ছাড়া বৃহত্তর জাতির বা দেশের স্বার্থে হচ্ছে না।