Last Updated on February 18, 2023 1:06 PM by Khabar365Din
কেন্দ্রের বঞ্চনাসত্ত্বেও তিন শতাংশ ডিএ দিয়েছি
ম্যাজিশিয়ান নই টাকা জোগাড় করতে হয়েছে
৩৬৫দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। আমি ম্যাজিসিয়ান নই। জাদুকরের মত টাকা দিতে পারি না। টাকা দাও বললেই, গুপি বাঘার ম্যাজিকের মিষ্টির হাঁড়ির মত টাকা চলে আসবে! টাকাটা যোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র খাদ্যের টাকা কেটে দিয়েছে, খাদ্য ওরা আদার ব্যাপারীদের দেবে। গরিবদের দেবেনা। ওরা (ভাজপা) কোকিলের মতো অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে। ভোটের সময় আসে। ভোট নেয়। ভোট শেষ হলে পালিয়ে যায়।জনগণকে আমি ভালবাসি। রাজ্যের জনগণও আমাকে ভালবাসে।
শুক্রবার বাঁকুড়ার বলরামপুর জনসভা থেকে এভাবেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, বাঁকুড়ার দুই ভাজপা সাংসদের বিরুদ্ধে এভাবেই প্রতিবাদে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এদিন সভামঞ্চ থেকে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন,
১. আমরা কোথাও জোর করে জমি অধিগ্রহণ করি না। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি উচ্ছেদ করতে গিয়ে মা-বোনেদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলার মেয়েরাই একদিন দেশ চালাবে। বাংলা এগিয়ে যাবে। বাংলা মানুষের হৃদয়ে নতুন জায়গা নেবে। নতুন প্রজন্ম, একদিন তোমরাই মা-বাবাকে বলবে, টাকা বা সোনা নয়, আমি তোমাদের সোনা। বিত্তবান চাইনা, বিবেকবান চাই।
২. ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এখানে ওদের দুজন সাংসদ, জাতীয় স্তরের নেতা। কিন্তু ওরা ঠিক ভোটের সময় আসে। কী করেছে ওরা (ভাজপা নেতারা) বাঁকুড়ার জন্য? রাস্তার টাকা দেয় না। বলে বাংলার বাড়ি হবে না। যেন মনে হচ্ছে ওদের বাপের টাকা। এটা আমাদের টাকা। আমাদের এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। আর রাজ্যকেই টাকা দেয় না। ওরা (ভাজপা) বলছে ওদের ভাতে মারো। ওবিসিদের কোটা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা মেধাশ্রী প্রকল্প চালু করেছি।
৩. বাংলার মানুষ ভিক্ষা নয়, অধিকার চায়। আর দিল্লির সরকার বাংলাকে ভাতে মারতে চাইছে। বাঁকুড়ার জন্য বিজেপি কোনও কাজ করেনি। ভোটের সময় নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট শেষে তাদের পাওয়া যায় না।
৪. বাঁকুড়ায় প্রচুর পর্যটনের জায়গা রয়েছে। তাই এখানে প্রচুর হোমস্টে তৈরি হচ্ছে। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশুনায় খুব ভাল। এখানে থাকুন, ভালো থাকুন, নিজেদের মধ্যে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকুন।
৫. বাঁকুড়ার পটচিত্রের কাজ ইউনেসকো দেখে গেছে। বাঁকুড়ার বালুচরী জি আই পেয়েছে। ডোকরা কি কাজ নয়? ডোকরা শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান হচ্ছে। কাশফুল দিয়ে বালিশ তৈরি হচ্ছে, বালাপোস তৈরি হচ্ছে।
৬. সারি ও সারনা সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি। সব ভাষাই আমাদের ভাষা। কিন্তু আমরা বাংলা ভাষাতে কথা বলি। মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা।
৭. ২০২৪ সালের মধ্যে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে যাবে। এখানের গঙ্গাজলঘাঁটিতে তৈরি হচ্ছে জল প্রকল্প। জল–স্বপ্ন প্রকল্পে উপকৃত হবেন অসংখ্য মানুষ।
৮. উত্তরবঙ্গ–দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৯. ৬ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারে উপকৃত হয়েছেন। ৬০ বছর বয়স হলে প্রাপকরা সরাসরি বার্ধক্য ভাতায় নথিভুক্ত হবে। আগামী বছর বাংলায় ৮ কোটি কর্ম দিবস তৈরি হবে।