Last Updated on May 7, 2021 10:51 PM by Khabar365Din


৩৬৫ দিন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভাজপার সাফল্যের পেছনে মূল কারিগর মুকুল রায়ের সঙ্গে উত্তরোত্তর দূরত্ব বেড়ে চলেছে ভাজপা নেতৃত্বের। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় ভাজপা সংগঠন ঢেলে সাজানোর মূল কারিগর হওয়া সত্বেও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শুভেন্দু অধিকারীর আঁতাতে তাকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয় দলের মধ্যেই। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে না চাওয়া সত্ত্বেও কার্যত জোর করেই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয় মুকুল রায়ের। নির্বাচনে জয়ী হয় বিধায়ক পদে শপথ নিলেও ভোট ঘোষণার পর থেকেই দলের সঙ্গে তার যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল আজ শপথ গ্রহণের দিনে তা যেন আরো কয়েক যোজন বেড়ে গেল। বিধানসভায় এবারের জয়ী ভাজপা বিধায়কদের নিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকলেও দলের হুইপ অমান্য করে সেই বৈঠক করেন মুকুল রায়। শুধু তাই নয়, দলের সাধারন বিধায়কদের জন্য বিধানসভায় প্রবেশ করার জন্য যে গেট রয়েছে সেই গেট দিয়ে বিধানসভায় না ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রবেশের গেট দিয়ে আজ বিধানসভায় ঢোকেন মুকুল রায়। এসে তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে যান প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। সেখানে এক সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলে চলে যান শপথগ্রহণ কক্ষে। সেখানে প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় শপথবাক্য পাঠ করান। পরে অধিবেশন কক্ষে থাকা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গেও বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলতেও দেখা যায় মুকুলকে। একদিকে যখন ভাজপা বিধায়কদের নিয়ে দিলীপ ঘোষ বৈঠক করছেন, সেই বৈঠকে না গিয়ে তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধানসভা ছাড়েন মুকুল। ভাজপা পরিষদীয় দলের বৈঠক বয়কট করা প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে মুকুল রায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করে রহস্য জিইয়ে রেখে বলেন, আমি এখন কিছু বলব না। যখন বলার হবে, তখন সাংবাদিকদের ডেকে নেব। মানুষের জীবনে এমন দু’একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়। সুব্রত বক্সীর সঙ্গে তার কথাবার্তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মুকুল বলেন, সুব্রত বক্সীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রসঙ্গত আজ বিধানসভায় দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ভাজপা পরিষদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত হননি শুভেন্দু অধিকারীও।