Last Updated on August 10, 2023 6:31 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।’আমি ভালো নেই মা,খুব ভয় করছে’।ফোনে এটাই ছিল তাঁর শেষ কথা।আরও কি বলতে চেয়েছিল সে?যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বর্ণদীপ কুন্ডুর মৃত্যুতে তোলপাড়।প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পিছনে কারা দায়ী?যদিও র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠছে।এমনকি তাঁর সহপাঠীদের বক্তব্যে,তাঁকে চরম অত্যাচার করা হত।এ কথা সে তাঁর বাবার সঙ্গেও আগে বলেছেন।তবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছে,খতিয়ে দেখছে পুলিশ।বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন মৃত পড়ুয়ার বাবা ও তাঁর আত্মীয়রা।এদিকে,মৃত্যুর আগে মা-কে ফোন করেছিলেন ওই ছাত্র। বলেছিলেন, ‘আমি ভাল নেই মা। আমার খুব ভয় করছে। তুমি এসো, তোমার সঙ্গে অনেক কথা আছে।রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ এই কথা হয়েছিল।
তারপর ফোন করলেও স্বপ্নদীপ আর ফোন ধরেননি বলেই খবর তাঁর পরিবার সূত্রে।তবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বপ্নদ্বীপের বাড়ি নদীয়ার বগুড়ায় কুন্ডু পাড়ার প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।তাদের দাবি, স্বপ্নদ্বীপ খুব ভদ্র সভ্য ভালো ছেলে চোখে প্রচুর স্বপ্ন নিয়ে সে এগিয়ে যাচ্ছিল।একই কথা বলেছেন স্বর্ণদ্বীপের স্কুলের প্রধান শিক্ষক।তিনি জানিয়েছেন,ছোট থেকেই খুব ভালো ছাত্র স্বর্ণদ্বীপ।কখনও কোনও অভিযোগ ওঁর নামে শুনিনি।ও সুইসাইড করতে পারে না।আমার মনে হয় সঠিক তদন্ত করা উচিত।জানা গিয়েছে,বাবা ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মী মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।দুই ভাই,ছোট ভাই রত্নদ্বীপ মাধ্যমিক দেবে।
আর বড় ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বগুলা স্কুল থেকেই, তারপরে পথ চলা যাদবপুর কলেজে ভর্তি,স্বপ্নদ্বীপ এর বাবার নাম – রামপ্রসাদ কুন্ড,গাজনা সমবায় ব্যাংকে অস্থায়ী কাজ করেন, দুই পুত্র,স্বপ্নদ্বীপ বড় ছেলে,মায়ের নাম – আদর কুন্ডু,অঙ্গনারী কর্মী,ছোট পুত্র রত্নদিপ কুন্ডু,এবার মাধ্যমিক দেবে,বাড়ি হাসখালি থানার বগুলা কুন্ডুপাড়া।পরিবারের লোকেদের দাবি,আমাদের সন্দেহ তো হচ্ছেই।ও সুইসাইড কেন করবে? যে মায়ের সঙ্গে কথা বলল, সে কীভাবে কিছুক্ষণের মধ্যে সুইসাইড করতে পারে?পাগল তো নয়!সুইসাইডের সমস্ত তথ্যই উড়িয়ে দিয়েছে স্বর্ণদ্বীপের পরিবারের লোক এবং তাঁর সহপাঠীরাও।তবে তাঁর মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা দায়ী?তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
যাদবপুরের তদন্ত কমিটি এদিকে,ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।টিচার্স এসোসিয়েশন থেকে এই কমিটিতে ৬ জন সদস্য রয়েছেন।যার মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের সৈকত সিনহা রায়,ফিজিক্সের দেবাশীস বিশ্বাস,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনুপম দেব সরকার, কম্পেরটিভ লিটারেচারের সুজিত কুমার মন্ডল,মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট মিতালি দেব,কনভেনর বাপ্পা মল্লিক।এই কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়াই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।