৩৬৫ দিন। যা ঘটে গিয়েছে সেটাই তো ইতিহাস। তাকে আবার পরিবর্তন করা যায় নাকি ! অমিত শাহের ‘ইতিহাস বদল’কে খোঁচা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। সম্প্রতি এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ইতিহাসবিদরা ভারতের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুঘলদের বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে চোল, গুপ্ত, মৌর্যরা তেমন গুরুত্ব পায়না। এই ইতিহাস বদলাতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্যের উল্টো সুর শোনা গেল বিহারে বিজেপি জোট সঙ্গী জেডিইউ-এর নীতীশ এর গলায়।
এ বিষয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিনা ইতিহাস আবার কিভাবে বদল করা যায় মৌলিক ইতিহাস কখনও বদল করা যায় না। যেটা ঘটে গিয়েছে ইতিহাসের পাতায় সেটাই রয়েছে আমরা সবাই সেটাকেই ইতিহাস বলে জানি তাকে আমরা পরিবর্তন করব কি করে! গত বেশ কয়েক মাস ধরে জেডিইউ এর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক বেশ খানিকটা অবনতির দিকে গিয়েছে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঠোকাঠুকি লাগছে দুই শরীকের।
ভাজপা শাসিত প্রায় সমস্ত রাজ্যে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন পাশ করা হলেও উল্টো পথে হেঁটেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই ধরনের কোন আইনে তিনি পক্ষপাতী নন এবং বিহারে এমন কোন আইনের প্রয়োজন নেই এই নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি তিনি সংঘাতের রাস্তায় কেটেছেন অন্যদিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কয়েক মাসে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই কমেছে প্রাক্তন জোট সঙ্গী লালুপ্রসাদের আরজেডি-র।
আর এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের বিরোধিতা করলেন নীতীশ। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে এগোচ্ছে তাতে দুই শরীকের সম্পর্ক আগামী দিনেও থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে বিহার বিজেপির একটা বড় অংশ নীতীশ কুমার কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানতে নারাজ। তাদের যুক্তি বিজেপির ভোট ব্যাংকের ওপর ভর করে নীতীশ কুমারের দল ক্ষমতায় এসেছে তাই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকে হওয়া উচিত অন্যদিকে নীতীশ কুমার মনে করছেন তাকে সরকার চালাতে দিচ্ছে না ভাজপা। নানাভাবে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেন তাই সময় থাকতে থাকতে তিনি ভাজপার ওপর পাল্টা চাপ বাড়াচ্ছেন।