Last Updated on August 28, 2021 10:02 PM by Khabar365Din


৩৬৫ দিন। যতবার তিনি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে সাধারণ মানুষের হয়ে আন্দোলনে পথে নেমেছেন, ততবার মমতাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করার নানান চেষ্টা করা হলেও, দেশের মানুষের স্বার্থে, মৃত্যুকে তোয়াক্কা না করে বাংলার মানুষের স্বার্থে মমতা পথে নেমেছেন। ফের একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের চেষ্টা, এ যেন খুব সহজ ব্যাপার, কেউ একজন ফেসবুক, ইমেইলে বা সামনা সামনি মমতাকে খুন করার চেষ্টা করবে, পুলিশ তদন্ত করবে এবং অভিযুক্তর জেল হয়ে যাবে। এতটা সহজ নয়, বাংলার জননেত্রীকে যারা খুন করার সাহস দেখায়, বা প্রকাশ্যে খুন করব বলে মন্তব্য করে, মানুষের আদালতে সেইসব মানুষের মতো দেখতে জানোয়ারদের বিচার হওয়া উচিত। এই ঘটনাটি যা ঘটল,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রিসার্চ স্কলার কলকাতার বাসিন্দা তমাল দত্ত শুক্রবার লালবাজারের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, গত ২৬ অগাস্ট ফেসবুক সার্ফ করতে গিয়ে দুপুর দুটোর সময় তিনি দেখতে পান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড: অরিন্দম ভট্টাচার্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৫ অগাস্ট বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে। একটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড: অরিন্দম ভট্টাচার্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করতে চান। ফেসবুকে এই পোস্টটি দেখার পরেই তমাল দত্ত লালবাজারের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ জানান। এই বিষয়ে তিনি ফেসবুকের ‘মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করা’ সংক্রান্ত সকল মন্তব্যগুলির স্ক্রীনশট নিয়ে রেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার পিছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির হাত রয়েছে যাদের সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের অধ্যাপকের সম্পর্ক থাকতে পারে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। ফেসবুকের এই ঘটনার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কোন সংশ্রব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর যদি নেহাত ‘মমতাকে খুন করব’ এমন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ার করা যায় বলে মনে করেন কেউ কেউ, তবে অবশ্যই জনতার দরবারে তাদের বিচার হওয়া উচিত। অন্যদিকে, এই আবহের মধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।
১২ ঘণ্টা পরেও নিজের অবস্থানে অনড়
অরিন্দম এর বক্তব্য পরিষ্কার, এখনো হত্যা করতে চাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ভুল পোস্ট করিনি, যেটা করতে চাই তাই লিখেছিলাম, এখনো তাই বলছি। হঠাৎ করে রাতে নিজের অবস্থানে থেকে সরে আসবো কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন এই ধরনের পোস্ট করতে গেলেন কেনইবা বিতর্কের পরেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসছেন না তিনি — (রাত সাড়ে ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে অরিন্দম সহ অভিযোগকারী তমালের সঙ্গে খবর ৩৬৫ দিনের কথা হয়) এই প্রশ্নই তাঁর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল, এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এই রাজ্যে আমি থাকতে চাইনা। খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে চারিপাশ। বসবাস করার যোগ্য নয় বাংলা৷ তাই আমি হত্যা করতে চাই। এখনও হত্যা করতেই চাই। যদিও সিএম বা পিএমকে হত্যা করার সাধ্য আমার নেই। বাংলা থাকার অযোগ্য,বাংলায় চারপাশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বলে আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করবেন বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন! অনড় অরিন্দমের জবাব, তাতে আমার কিছু এসে যায়না। অভিযোগকারী, যিনি লালবাজারের সাইবার সেলে এই পোস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, খবর ৩৬৫ দিনকে তিনি জানিয়েছেন, আসলে উনি যে এভাবে ফেঁসে যাবেন সেটা বোঝেননি। তাই কথার জালে এবং নিজেকে বাঁচাতেই এখন এইসব বলছেন। তবে একজন অধ্যাপকের মুখে এই রকম কুরুচিকর মন্তব্য একেবারেই মানানসই নয়।