Last Updated on June 27, 2022 4:43 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। অসমান্তরাল গ্রাফের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধীরে ধীরে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সম্প্রতি, কিছু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপরে সমীক্ষা চালান হয়। সেখান থেকেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ রোগীই বুস্টার ডোজ নেননি। ফলে, শরীরে অনেকটাই কমে গিয়েছে অ্যান্টিবডি পরিমাণ। যার ফলে, ভাইরাস থেকে রেহাই পাচ্ছেন না মানুষ। দেখা যাচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই বুস্টার ডোজ নেননি। কিছু ক্ষেত্রে অনেকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্যে প্রস্তুত নন। অর্থাৎ ৯ মাস হয়নি। তার আগেই আক্রান্ত হচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৮০ শতাংশ বুস্টার ডোজ নেননি। বাকিরা কোন ডোজ নেননি। আবার, কেউ কেউ ১ টি মাত্র ডোজ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তিনটি ডোজ নেওয়ার পরও কিছু জন মারা যায়। মূলত, কোমর্বিডিটির কারণে অনেকে মারা যাচ্ছেন।অন্যান্য রোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই নিচ্ছেন না বুস্টার ডোজ। ফলে, হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বাড়ছে। অর্ধেকের কম মানুষ বুস্টার টিকা নিয়েছেন। এক চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ৬ মাস পর টিকার অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়া দরকার। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৩ জন। মৃত শূন্য। সুস্থ হয়ে উঠছেন ২১২ জন। দিন কয়েক আগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল, ৭৪৫ জন। সংক্রমনের হার পৌঁছে যায় ৪.৮ শতাংশ থেকে ৭.৩০ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমনের হার ৫.১১ শতাংশ। পিয়ারলেস হাসপাতাল ৪০ বেডের করোনা ওয়ার্ড খুলেছে। যেটা ফেব্রুয়ারি নন করোনা ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। কিছুদিন আগে থেকেই নতুন স্ট্রেন এবং চতুর্থ ঢেউয়ের কথা আশঙ্কা করেই নড়েচড়ে বসে বেসরকারি হাসপাতালের একাংশ। তাদের বক্তব্য, প্রাথমিক চিন্তাভাবনা এবং একটা পরিকল্পনা করে রাখা হচ্ছে। যদিও, এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকার উপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।