বাংলার মানুষ সতর্ক হোন, ৭২’র সন্ত্রাস ফেরার চক্রান্ত

0

Last Updated on March 5, 2023 8:06 PM by Khabar365Din

ভারত ভাঙোর রাহুল গান্ধিকে পূষন গুপ্ত’র খোলা চিঠি

পূষন গুপ্ত: ১. এই বাংলায় সন্ত্রাসের অভাব ঘটেনি। আমাদের বয়স হয়েছে, অনেক ধরনের সন্ত্রাস দেখেছি। এখনকার প্রজন্ম সৌভাগ্যবান। যেহেতু ২০১১ থেকে আজ পর্যন্ত একটিও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। তাই তারা জানে না সন্ত্রাসের আসল চেহারাটা কতটা ভয়াবহ। যুক্তফ্রন্টের আমল থেকে শুরু হয়েছে নকশালি সন্ত্রাস। ‘চিনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান’, আওয়াজ তুলে চারু-কানু-অসীমের মগজধোলাইয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে একদল উন্মত্ত প্ৰজন্ম শ্রেণিশত্রুর নাম করে সবচেয়ে কম মাইনের পুলিশ কনস্টেবল আর স্কুলের মাস্টারমশাইদের খুন করে, বিদ্যাসাগরের মূর্তির মুণ্ডু কেটে, স্কুল কলেজের ল্যাবরেটরি ভেঙে দেশে বিপ্লব আনবে ঠিক করল। সূর্য ডুবলে বাড়িতে ঢুকে যেতে হত বাংলার মানুষকে। এই চরম মেড ইন চায়না সঙ্কট ঠেকাতে ক্ষমতায় এল ৭২-এর সন্ত্রাসের নায়ক মানুদা। লাল হাফ প্যান্ট পরে গলফ খেলার ফাঁকে নকশালি সন্ত্রাস ঠেকাতে সংগঠিত করলেন বাংলার প্রথম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বরাহনগর গণহত্যা। একরাতে নকশালি সন্ত্রাস ধ্বংস হল বটে, কিন্তু কংগ্রেসী সন্ত্রাস জাঁকিয়ে বসল। এরপর ইন্দিরা-সঞ্জয়ের মহান কীর্তি এমার্জেন্সি। ৭২-এর কংগ্রেসী সন্ত্রাসের সঙ্গে সিপিএমের লাল সন্ত্রাসের একটা চরিত্রগত পার্থক্য ছিল। দুটোই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, রাষ্ট্রশক্তি এবং হার্মাদ বাহিনী দুক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে। সুব্রত-প্রিয়-সোমেনদের নেতৃত্বের কংগ্রেসী সন্ত্রাস ছিল খুল্লামখুল্লা। এদের হার্মাদ বাহিনী পুলিশের জিপের পাদানিতে পা রেখে, পুলিশের কলার ধরে ‘যা বলছি শোন শালা’য় অভ্যস্ত ছিল। সিপিএমের সন্ত্রাসের চরিত্র আলাদা। ৩৫ বছরে তারা কমপক্ষে ২০টি আন্তর্জাতিক মানের গণহত্যা, গণধর্ষণের কাণ্ড ঘটিয়েছে। সঙ্গে বড়মাপের সন্ত্রাস কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৫০০। এরা পুলিশকে ডেকে পাঠাত পার্টি অফিসে, লাল চা খেতে খেতে ঠাণ্ডা গলায় অর্ডার দিত, ভোর ৫টার মধ্যে অপারেশনটা সাকসেসফুল হয় যেন । না হলে কী পরিণাম হত তা জানতেন ওই পুলিশ কর্তা এবং তাঁর পরিবার। আমি বারবার এসব কথা বলেছি, বাংলার মানুষের স্মৃতিতে এই ঘটনাগুলো ক্ষতবিক্ষত করুক এটাই চেষ্টা করেছি। শুধু আমি ভুলি নাই বললে তো হবে না, বাংলাকেও বলতে হবে ভুলি নাই।


গত দুদিন সাগরদিঘিতে জয়ের পর, বাম ও রামের মদতে অধীর চৌধুরির কংগ্রেসী হার্মাদ বাহিনী যা ঘটাল তাতে আমি ও বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ শুধু স্তম্ভিত নই, আতঙ্কিতও বটে। মুহূর্তে ৭২-এর কংগ্রেসী সন্ত্রাসের চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠল। একই সঙ্গে প্রায় ফ্ল্যাশব্যাকের মতো লাল সন্ত্রাসের সংগঠিত চেহারা। এই উন্মত্ত উল্লাসে যোগ দিল একটি টিভি মিডিয়া। তাদের হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় বারবার জুম ইন ও আউট করে এক অসুস্থ উন্মত্ত হার্মাদকে হিরো বানাবার ভয়ঙ্কর অপচেষ্টা। সিপিএমের উল্লাসের কারণ বুঝি, দীর্ঘদিন শিকার ধরতে না পারার ব্যর্থতা ও হতাশা লোলচর্ম বুড়ো বাঘের মতো ওরা থাবা চাটছে আর দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। বড়সড় হরিণের আশা ছেড়ে দিয়েছে ওরা, কাঠবেড়ালি ধরা পড়লেও এখন ওদের তুমুল গর্জন। কখনও রামের সমর্থনে, কখনও কং-এর | সমর্থনে, বিপর্যস্ত, মহাশূন্যে বিলিন হওয়া ভিখারি বামের হাত পাতা ছাড়া আর কোনও গতি নেই। বিকাশ ভট্টচার্যদের কষ্ট বুঝি, যে কোনও কাঁচা মাংসের রক্ত তা যদি কাঠবেড়ালিরও হয়, ওদের উত্তেজিত করে, ওদের ক্ষমতার খোয়াব দেখায়, ওই কাঁচা মাংসের গন্ধে বিভোর হয়ে ওরা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে, দেখতেই থাকে। বেচারা, তাই ওদের দোষ দিই না।

যে জনৈক, আইনজীবীদের সম্মানীয় কোর্ট পরে মুখ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারকে অশ্রাব্য, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করল, তার জন্য আমার করুণা হয়, বেচারার কাউন্সেলিং দরকার। মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অশালীন কটুক্তি এক ধরনের অবসাদগ্রস্ত যৌন বিকৃতির ফল এর চিকিৎসা আছে। কিন্তু যাদের চিকিৎসা নেই তারা হল এই শিখন্ডিকে সামনে রেখে যারা বাংলাকে দেখাল কীভাবে বাংলায় সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে হয়। এদের চিকিৎসা নেই। তাই ভয় করছে।
8.
স্তম্ভিত হচ্ছি একজনকে দেখে যিনি এবং যার পরিবার গত দু দশক ধরে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে দেশের সামনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যিনি নরেন্দ্র মোদির অবিকল কার্বন কপি হিসেবে গান্ধি ডাইনেস্টির গ্ল্যামার বয় হিসেবে কখনও ভারত ভাঙো আর কখনো বিদেশ জোড়ো করছেন। মাননীয় রাহুল গান্ধিকে আমার প্রশ্ন, আপনি কি বাংলায় এইসব নন্দি-ভৃঙ্গিদের নিয়ে ৭২-এর কংগ্রেসী সন্ত্রাস আর সিপিএমের লাল সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনার খে লায় নেমেছেন? সত্যি বলছি, বাবা ভয় করছে। সোজা সাপটা বলুন বাংলায় আপনার প্রধান শত্রু কে? রাম? বাম? নাকি একমাত্র মমতা? এভাবে বিরোধী নেতৃত্বের মুখ হয়ে ওঠা যায় নাকি? ভুল করছেন স্যার। অনিবার্য পরাজয়ের দিকে এগোচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here