Last Updated on November 25, 2021 5:23 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শ্মশানে দাহ করতে এসে কোথাও যাতে না কোনও জোরজুলুম না হয় এবং শবযাত্রীদের কাছ থেকে যাতে অস্বাভাবিক টাকা দাবি না করা হয় তারজন্য আগামী দিনে পুরসভার অধীন সব শ্মশানঘাটে দাহ করার খরচ বেধে দিতে চলেছে হাওড়া পুরনিগম। শিবপুর শ্মশানঘাটে এই প্রক্রিয়া প্রথম চালু হচ্ছে। এরপর অন্যান্য শ্মশানেও রেট চার্ট বেধে তা সাইনবোর্ডের আকারে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
পুরনিগম সূত্রের খবর, অনেক সময়েই শবযাত্রীরা মড়া পোড়াতে এসে জোরজুলুম এবং অস্বাভাবিক ডিমান্ডের মুখে পড়েন। এতে তাঁদের সমস্যা হয়। রেট চার্ট বেধে দেওয়া হলে সেই সমস্যা আর থাকবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার শিবপুর শ্মশানঘাট পরিদর্শন করেন পুরনিগমের প্রশাসকমন্ডলী। এবিষয়ে ডেপুটি চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরী বলেন, “শিবপুর শ্মশানঘাট বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা পরিদর্শন করেছি। পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, পুর কমিশনার ধবল জৈন, ডেপুটি কমিশনার (২), ডেপুটি চেয়ারপার্সন হিসেবে আমি সৈকত চৌধুরী এবং দেবাংশু দাস, প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রিওয়াজ আহমেদ সকলে সেখানে পরিদর্শন করি।
শিবপুর শ্মশানঘাটের দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লিই ( যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন কোভিড রোগীদের দেহ দাহ করার কাজেও ব্যবহৃত হয় ) যাতে সচল থাকে সেটা দেখা এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। শিবপুর শ্মশানঘাটের যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। শ্মশানঘাটের কর্মী, সেখানকার স্টাফ, ডোম, পুরোহিতদের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি। এই শ্মশানঘাটে যেহেতু প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০টিরও বেশি দেহ সৎকার হয় তাই মানুষ যাতে সঠিক পরিষেবা এখান থেকে পায় তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। এদিন মেইনটেনেন্সের কন্ট্যাক্টগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। অনেক সময় শবদাহ করতে আসা শ্মশান যাত্রীদের অভিযোগ থাকে যে অস্বাভাবিক টাকা ডিমান্ড করা হয়েছে। সেটা যাতে না হয় তারজন্য কলকাতা পুরসভার ধাঁচে আমরা হাওড়া পুরসভাও শ্মশানে রেট চার্ট বেধে দিচ্ছি।
পুরোহিত, ডোম বা আনুসঙ্গিক খরচ কি হওয়া উচিত তা দেখে আমরা ওই রেট চার্ট বেধে দেব। সেই চার্ট আমরা বোর্ডে লিখে পুরসভার তরফ থেকে সেখানে ঝুলিয়ে দেব। ফলে এতে শবযাত্রীদের সমস্যা হবেনা। অভিযোগ উঠবে না। আগামী দিনে এই রেট চার্ট হাওড়া পুর এলাকার অন্যান্য শ্মশানঘাটেও চালু করা হবে। এই বিষয়েও এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দাহ করার প্রক্রিয়া যাতে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে এবং কোথাও কোনও জোরজুলুম না হয় তারজন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।”