৩৬৫ দিন। আষাঢ়ের তৃতীয় সপ্তাহ! শহর তথা দক্ষিণবঙ্গে কাটতে পারে বৃষ্টিহীনতা। শেষমেশ বাংলাদেশ উপকূলের ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে জন্ম নিতে পারে নিম্নচাপ। আর, তার জেরেই আরও একবার সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু। এ প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, বাংলাদেশ উপকূলের কাছে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় এটি ধীরে ধীরে ওড়িশা উপকূলের দিকে আসবে। পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। সেখান থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা। তিনি যোগ করে বলেন, এছাড়াও শান্তিনিকেতনের উপর দিয়ে গিয়েছে অক্ষরেখা। সেখান থেকেও এই বৃষ্টি। আপাতভাবে দুদিন বৃষ্টি হবে শহরে। হালকা থেকে মাঝারি। উপকূলের জেলাগুলিতে অর্থাৎ দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, গতকাল শহরে দফায় দফায় চলে ভারী বৃষ্টি। সাময়িকভাবে বিভিন্ন নিচু জায়গাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এদিন, কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বর্ধমান,বাঁকুড়া, বীরভূম, সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ঘাটতি পরিমাণ, ৪৯ শতাংশ। এদিকে, উত্তরবঙ্গ প্রথম থেকেই বর্ষা মঙ্গল। সেখানে স্বাভাবিকের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কথা, ৪৮৪.৬ শতাংশ।
কিন্তু, হয়েছে ৭২৭.৫ শতাংশ। গোটা পশ্চিমবঙ্গে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের থেকে ৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, মৌসম ভবনের খবর, সম্পূর্ণ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের কিছু অংশ, বর্ষা প্রবেশ করেছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে রাজস্থান এবং গুজরাতের কিছু অংশে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু।
পূর্ব পশ্চিমের অক্ষরেখা উত্তর পশ্চিম রাজস্থান থেকে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর কারণে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ভারী বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুত সহ মাঝারি বৃষ্টি চলবে মধ্য প্রদেশ, ছত্রিশগড়ে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গ আগামী ৪ থেকে ৫ দিনে।