Last Updated on August 8, 2022 7:26 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। তৃণমূলের যুব সভাপতি বাপটু চক্রবর্তী দল ছেড়ে দেওয়াতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না বলেই অভিমত তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দোপাধ্যায় | তিনি আরো জানান উপনির্বাচনে বাপটু যে দায়িত্ব পেয়েছিলো তা সঠিক ভাবে পালন করতে পারছিলেন না |রাজীব আরো বলেন উপনির্বাচনের মতো বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে তৃণমূল ভালো ফল করলেও বাপটুর এলাকায় কোনো উন্নতি হয়নি | এইসব কারণেই দলে চাপে ছিল সে | বিরুদ্ধ রাজনীতি করার সাহস না দেখতে পেরেই বাপটু পালিয়ে গেলেন |
রবিবার ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “রাজনীতিতে আদৌ কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা আছে কি না সেটাই এখন একটা বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এরা বারবার দলবদল করে, কিন্তু এরাই কয়েকদিন আগে এখানে বসে একুশে জুলাইয়ের শহীদ স্মরণে অংশগ্রহণ করেছে। আমার তো মনে হয় লড়াই কেউ যদি করে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেন, তৃণমূল কংগ্রেস করেন।
বাপ্টু চক্রবর্তী ক্ষেত্রে আমি বলবো যে, তাকে বারবার বলা হয়েছিল জনসংযোগ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে কিন্তু তাকে তৎপরতার সঙ্গে সেভাবে রাজনীতিতে দেখা যায়নি। দলবদল করতে গেলে একটা করে যুক্তি লাগে। তৃণমূল কংগ্রেস তাকে অনেক সম্মান দিয়েছিল, তাকে সাধারণ সম্পাদক করেছিল, বিভিন্ন সংগঠনের ইনচার্জ করেছিল, ৩দিন আগে পর্যন্ত আমার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন।
প্রদেশ এই নেতা তার বক্তব্যে কংগ্রেসকেই আঘাত করে বলেন, রাজ্যে ভাজপা বিরোধী শক্তি হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তৃণমূল। মানুষ বিশ্বাস করেছে তাদের। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা রেখেছে । তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প শক্তি হয়ে উঠছিল তৃণমূল । এই কারণেই মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিচ্ছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে কংগ্রেসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেছেন। বাস্তব অর্থে মানুষ এই ধরনের নেতৃত্বের পাশে থাকতে চায় ।এ কারণেই রাজ্যেও ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে রাজনীতিকরা বলছেন, সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য । কারণ সিবিআই, ইডি দফাওয়ারী হানায় যখন সোনিয়া গান্ধী বিপর্যস্ত, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চোখে চোখ বৈঠক করে নিজের পাওওনা গন্ডা বুঝে নিতে চেয়েছেন । এটাও বাস্তব মোদী – মমতার এই বৈঠক নিয়ে দেশজুড়েই চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর বলে থাকেন একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই হল বিজেপি’র প্রধান বিরোধী দল।
ভাজপার বিরুদ্ধে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই ধারাবাহিক আন্দোলন বজায় রাখছে। সুদীপ রায় বর্মনের ব্যাখ্যা, এই রাজনৈতিক দলের উপর অর্থাৎ তৃণমূলের উপর মানুষ আস্থা রেখেছে তাই শূন্য থেকে ৩ % ভোট তারা পেয়েছেন।। তাই তারা যোগদান করছে তৃণমূল কংগ্রেসে।এদিকে বাপটুকে বাদ দিয়ে ইতিমধ্যেই যুবর কার্যকারিনী সমিতি তৈরী করে ফেলেছে তৃণমূল |