Last Updated on March 8, 2022 8:21 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। তৃণমূলে (Trinamool) যোগ দিলেন ভাজপা বিদ্রোহী নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে মমতা (Mamata Banerjee) ও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতিতে রাজ্য ভাজপার প্রাক্তন সহ সভাপতির হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একইসঙ্গে রাজ্য শাসকদলের নাম লেখান ভাজপা নেতা তন্ময় ঘোষ (Tanmoy Ghosh)। যোগদানের পরই জয়প্রকাশ মজুমদারকে তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তন্ময় ঘোষকে সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিলেন মমতা।
একেই তো বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় ভাজপা কার্যত ভাঙা হাটে পরিণত হয়েছে। এবার জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগদানে রাজ্য ভাজপায় বিদ্রোহ আরো বড় আকার নিল। নজরুল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। বাংলার অস্মিতার জন্য কাজ করতে চাই। বিজেপি আমি ছাড়িনি ওরা আমায় তাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি (BJP) একটা নির্লজ্জ দল। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি একটা রাজনৈতিক দিশা পেয়েছি। এদিকে, বিদ্রোহীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও(Locket Chatterjee)।
গতকালই কলকাতায় বসে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন তিনি। যার জেরে বেজায় চাপে রয়েছেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। একের পর এক দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নেতারা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্রোহ শিবিরে নাম লেখায় এখন দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সুকান্ত মজুমদারদের কাছে। সম্প্রতি দলের চিন্তন বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্তের সমালোচনা করে দলের একাংশের কাছে চক্ষুশূল হয়েছিলেন হুগলির সংসদ। তারপরই সোমবার বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বহিস্কৃত নেতা রিতেশ তেওয়ারি,জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বর্তমান সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন সম্পাদক সমীর সাহা। জয়প্রকাশ এর যোগদান প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,আগেও দল ছেড়ে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত। সবাইকেই রোখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।