Last Updated on December 30, 2021 11:24 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হলেন নাট্যকার, অভিনেতা, পরিচালক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্যকে এ বছরের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর খমিরজাফর ও অন্যান্য নাটকখ গ্রন্থটির জন্য। সাধারণত নাটকের জন্য সাহিত্য একাডেমির মত পুরস্কার বিরল ঘটনা। নাটককে সৃজনশীল সাহিত্যের মধ্যে না ধরার একটা রীতি দীর্ঘদিন বদ্ধ ভাবনাকে ইন্ধন জুগিয়ে এসেছে এতকাল। নাট্য বইয়ের জন্য ব্রাত্যর সাহিত্য একাডেমি পাওয়ার মধ্যে দিয়ে সেই ধারার পরিবর্তন হল বলেই মনে করছে সাহিত্যমহল। নাটকের সৃজনশীলতা স্বীকৃতি পেল বলা যায়, একই সঙ্গে সাহিত্যের মর্যাদাও। অশালীন থেকে হেমলাট, দ্যা প্রিন্স অফ গরানহাটা, দর্জিপাড়ার মর্জিনারা, কৃষ্ণগহ্বর, ১৭ই জুলাই থেকে ভয়, রুদ্ধসঙ্গীত,বোমা, মীরজাফর-র মতো তাঁর রচিত কালজয়ী নাটক এই সময়ের নাট্য জগৎ থেকে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলছে। তাঁর অরণ্যদেব, চতুষ্কোণ, উইঙ্কল টুইঙ্কল ইত্যাদি নাটক ইতিমধ্যেই গুণীজনের প্রশংসা পেয়েছে।
শুধু তাই নয়, বাংলার নাট্যজগতের ব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতিক পরিকল্পনার দিকটি নিয়ে তাঁর আধুনিক ও ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি আজ সফল। তাঁর কোম্পানি থিয়েটারের আদর্শে বাংলা গ্রুপ থিয়েটারকে নতুন ধাঁচে নতুন উদ্যমে বুক চিতিয়ে লড়ছে। ব্রাত্য বসু সাহিত্য আকাদেমি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত কবি সুবোধ সরকার। তিনি অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, কবিতা যেমন, উপন্যাস যেমন, প্রবন্ধ যেমন তেমনি নাটক বাংলা সাহিত্যের একটি শোণিতবহনকারী আর্টারি। আমরা যখন পিরানদেল্লো পড়ি, গিরিশ কারনাড পড়ি, প্রথমে সাহিত্য হিসেবে পড়ি, তারপর অপেক্ষা করি মঞ্চে তার উদ্ভাসনের জন্য। ব্রাত্য বসুর নাটক আমি প্রথম থেকে পড়ে আসছি এবং দেখে আসছি। তাঁর নাটক আমি মহেশ এলকুঞ্চার এবং বিজয় তেন্ডুলকরের মাঝখানে রেখে পড়ি। এবং বারবার বিস্মিত হই তাঁর প্রতিভার ঝলসানিতে। তাঁর সংযম এবং বিস্ফোরণে। এখানে একটু বলে রাখি মারাঠিতে নাটক-ই সাহিত্যের প্রধান শাখা। আমরা যেমন উপন্যাস পড়ি, মারাঠিরা তেমনি নাটক দেখলে গোগ্রাসে পড়তে থাকেন। অভিনন্দন ব্রাত্য বসু। আজ নাটকের দিন। আজ বাংলা সাহিত্যের দিন। আজ প্রতিভা উদযাপনের দিন।
একটু বানানের প্রতি ও মুদ্রণের প্রতি যত্ন নিলে হয়না? আর কতদিন এই বিশৃঙ্খলা চলবে?