Last Updated on November 18, 2023 6:37 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ছট পুজোয় দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। ছট পুজোর দিন শহরে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। রবিবার ছটপুজো সেই উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা শহর। শহরের বিভিন্ন ঘাটে এইদিন ভিড় করেন পুন্যার্থীরা। শহরের নিরাপত্তা আরও কড়া করতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। মন্ত্রীসভার বৈঠকে আসন্ন ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ছট পুজোর দিন শহরের নজরদারিতে থাকবেন প্রায় ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। তার সাথে দ্বায়িত্বে থাকছেন ৩৫ জন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্তা। তাছাড়াও গঙ্গার ঘাটগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন থাকছেন ৭৭ জন ডিএমজির সদস্য। সূত্রের খবর, শহরের স্থায়ী ছোট পুকুর এবং অস্থায়ী পুকুর ও শহরের গঙ্গার ঘাট মিলিয়ে ১৩৩ টি জায়গায় ছট পুজোর আয়োজন হচ্ছে এই বছর।
কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে নিরাপত্তা দিতে উপস্থিত থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বেশ কিছু কারণে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো করতে দেওয়া হয় না। এই বছরও এই দুটি জায়গায় ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হবে না। তবে গত বছর অনেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সরোবরে ঢুকে পুজো করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা অনুসারে এবছর এই জু জায়গাতে ২ জন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্তা দ্বায়িত্বে থাকবেন। তাঁদের অধীনে ২৫০ জন করে দুই জায়গাতে মোট ৫০০ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার বিকেল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শহরের ছোট বড় ঘাটে ভিড় করে চলবে ছট পুজো। অনেকে রাতেই থেকে যাবেন গঙ্গার ঘাটগুলিতে। পুজো দিয়ে আসা মানুষ গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি গঙ্গার ঘাটে বা সরোবর ও অন্যান্য ছোট ঘাটগুলির ধারে যাতে কেউ শব্দবাজি না ফাটায় বা ডিজে না চালায় সেই বিষয়েও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে । নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে থেকেই গঙ্গার ঘাটগুলোতে করতে হবে ছট পুজো। পুজো সামগ্রী ফেলতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। গঙ্গায় নামলেও বেশি দূরে যাওয়া যাবে না। সামনে থেকেই সারতে হবে পুজোর কার্যক্রম। বিশেষ নজরদারি চলবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। শহর জুড়ে থাকছে পুলিশি ব্যবস্থা। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও দেবেন টহল।