Last Updated on May 6, 2021 1:01 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বিদ্রোহ লালবাড়িতে। একসময়ের ‘আমরা ২৩৫’ এর দল এবার ‘শূন্য’। ফলে বামহীন বাংলার বিধানসভা। আর সাদাবাড়ির অন্দরে ঢােকার টিকিট না পেয়ে হাহাকার আলিমুদ্দিনে। যারা এতদিন কথায় কথায় শৃঙ্খলা ছাড়া হারাবার কিছু নেই’ বুলি কপচাতাে, তারাই এখন কার্যত হাটে বাজারে বিদ্রোহ শুরু করেছেন মৌচাকে প্রথম ঢিল মেরেছিলেন উত্তর দমদমের সিপিএমের প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। দলের প্রতি একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। ফলে তন্ময়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। যদিও নিচু তলার কর্মীরা তন্ময়বাবুর এই বক্তব্যে খুশি। এরপরই উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। সিপিএমের সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, তন্ময় ভট্টাচার্যের এই বক্তব্য দল সমর্থন করে না। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, তার । বক্তব্য শুনে জেলা পার্টির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও বিদ্রোহী-তালিকা এখানেই শেষ নয়। আলিমুদ্দিনে কামান দাগেন রায়দিঘীর পরাজিত সিপিএম প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। না ইনিও অবশ্য দলের অন্দরে নয়, সেই মিডিয়ার সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন। প্রশ্ন উঠছৈ। লালবাবুরা কতজনকে নােটিশ ধরাবেন, তাহলে তাে ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে’কমরেড! তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি রাজ্যবাসীর বিপুল সমর্থনকে তিনি কুর্নিশ জানান। কান্তিবাবু বলেন, বিজেপিকে রুখতে পেরেছে তৃণমূল, বামেরা নয়। মানুষের কাছে ফ্যাসিবাদকে রােখার বিশ্বাসযােগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দল। একসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, আইএসএফ নিয়ে রাজ্য কমিটিতে কোনও আলােচনা হয়েছে বলে আমি শুনিনি। এই পরাজয়ের সঠিক বিশ্লেষন দরকার।