Last Updated on October 24, 2022 8:30 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।নিম্ন চাপের জেরে বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাব ত্রিপুরা রাজ্য পড়তে পারে। এর জেড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হলে রাজ্যবাসীকে যাতে নিরাপদ রাখা যায় তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন | ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে সোমবার। ফলে এমবিবি বিমানবন্দর সহ সমস্ত ট্রেন ও বাস সার্ভিস এর ওপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের ধলাই,গোমতি,খোয়াই,উত্তর ত্রিপুরা, সিপাহিজালা,দক্ষিণ ত্রিপুরা,উনকোটি,পশ্চিম ত্রিপুরার বেশিরভাগ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
রবিবার রাতে থেকে এখনও পর্যন্ত সিত্রাং আতঙ্ক সাব্রুম মহকুমাতেও। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে থাকা বঙ্গোপসাগর থেকে সাব্রুমের দূরত্ব মাত্র ৬৯ কিলোমিটার দূরে এই জেলা । খবর অনুযায়ী,বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের প্রভাব পড়তে পারে সাব্রুমেও।গোটা মহকুমার রাস্তা ঘাট শুনশান।এর জন্য সাব্রুম মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইক যোগে মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে এর জন্য সাব্রুম মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইক যোগে মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।
এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে মহাকরণে বৈঠক করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।এই পরিস্থিতিতে মানুষ যাতে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকেন তার জন্য সকলের প্রতি আহবান রেখেছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বহিরাজ্য থেকে জরুরী ভিত্তিতে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর অতিরিক্ত জাওয়ানদের রাজ্যে আনা হয়েছে বলেও জানান।
পুরো ব্যবস্থা ননজরদারির জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে ১১৭ জন এন সদস্য আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। সিত্রাং মোকাবিলার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে সতর্কতা বার্তা জারি করা হয়েছে, সেইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ ।
ত্রিপুরার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, সোমবারও চলছে এই বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ রাজ্যের দিকে এগিয়ে আসার কারণে উদ্ভুত ভারী বর্ষণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্ৰী সুশান্ত চৌধুরী জানান রাজ্যের গোমতী জেলার উদয়পুরের মাতাবাড়িতে দীপাবলি মেলায় প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগম হয়।
এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে যথাসম্ভব ভীড় এড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে মাতাবাড়ি দীপাবলি মেলার উপর। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি দপ্তর সহ সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ সহ জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।