Last Updated on January 14, 2022 10:56 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। পদ্মপাল আচ্ছেন পদ্মপালেই। রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই নিজের ইচ্ছামত উপাচার্য নিয়োগ করলেন জগদীপ ধনকর। ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তপন মন্ডল কে নিয়োগ করেন তিনি। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমতি, পরামর্শ, সুপারিশ কোনোটাই নেওয়া হয়নি। নিজের খেয়ালখুশি মতো উপাচার্যের পদে তপন মন্ডলকে বসানোর জন্য তার নাম ঘোষনা করে দেন পদ্মপাল। যদিও এই নিয়োগ কে বাতিল করে শিক্ষা দপ্তর সাফ জানিয়ে দেয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছে মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তপন মন্ডল নিজেই উপাচার্য হতে রাজি নন, সেই কথা শিক্ষা দফতরকেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইট করে পদ্মপালকে তীব্র আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, মাননীয় মনোনীত আচার্যকে এখনো বলবো, তৃতীয়বারে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যুদ্ধাংদেহী মনোভাব রেখে নিজের অভিপ্রায় শিক্ষা দপ্তরের উপর চাপাবেন না। বিধি অনুযায়ী নিযুক্ত নবনির্বাচিত উপাচার্যদের অভিনন্দন। অনেকে বলছেন, লোকে ঠেকে শেখে, ধনকর ঠেকেও শেখেননা ! রাজ্যপাল পদটাকেই তিনি কার্যত হাস্যস্পদ করে তুলেছেন। প্রথমত, নিজের কতৃত্ব জাহির করতে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একজনকে নিয়োগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে। যাকে নিয়োগ করলেন তিনিই আবার পরিষ্কার করে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন তিনি ওই পদে বসতে আগ্রহী নয়। শেষ পর্যন্ত রাজ্য শিক্ষা দফতর রাজ্যপালের নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ করল। সামান্যতম সম্মানজ্ঞান থাকলে সাংবিধানিক প্রধানের পদে বসে কেউ কি এমন হাস্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন ! রাজনৈতিক মহলের মতে, ভাজপার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে চলতে গিয়ে নির্লজ্জ কাজ করছেন পদ্মপাল। বার বার ধাক্কা খাচ্ছেন তবু ভবি ভোলার নয়!