Last Updated on March 3, 2023 7:39 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। কোটি টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতে নাতে গ্রেফতার কর্নাটকের ভাজপা বিধায়কের ছেলে। রাতভর তল্লাশিতে বাড়ি থেকে মিলল ৬ কোটির বেশী টাকা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাকা গোনার কাজ চলছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। কর্নাটক রাজ্য লোকায়ুক্ত সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার বিকেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে লোকায়ুক্তের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা হানা দেয় কর্নাটক সোপ এবং ডিটারজেন্ট লিমিটেডের অফিসে ( কেএসডিএল)। সরকারি এই সংস্থার চেয়ারম্যান হলেন ভাজপা বিধায়ক মাদল বিরুপক্ষাপ্পা। তাঁর ছেলে প্রশান্ত মাদলকে এই সংস্থার অফিস থেকে হাতে নাতে ঘুষ নেওয়ার সময় ধরেন অফিসাররা।
প্রশান্ত আবার বেঙ্গালোর জলবন্টন দফতরের চিফ অ্যাকাউন্টেট। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বাবা রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং কেএসডিএল-এর চেয়ারম্যান হবার সুবাদে তাঁর নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলাবাজি করত প্রশান্ত। এই সংস্থার-ই বিখ্যাত সাবান হল মাইসোর স্যান্ডেল সোপ। এই সাবান এবং ডিটারজেন্ট তৈরীতে যে কাঁচামাল লাগে তার বরাত কে পাবে তা ঠিক করে দিতেন প্রশান্ত। একটি সংস্থাকে এই বরাত পাইয়ে দেবার জন্য দেড় কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। সেই টাকা নেবার সময় শুক্রবার হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় সে। চলতি বছরেই কর্নাটকে বিধানসভা ভোট তার আগে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে ভাজপা নেতৃত্ব। চাপের মুখে তারা অবশ্য অন্য সাফাই খাড়া করছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এ প্রসঙ্গে বলেন, তদন্তকারীরা নিজেদের কাজ করছেন। মোদি অমিত শাহের নীতি মেনে আমরা দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য চাই। এই অভিযান থেকে সরকারের স্বচ্ছতা সামনে এল। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ আবার এই গোটা ঘটনার পেছনে ইয়েদুরাপ্পা বনাম বোম্মাই সংঘাত দেখছেন। তাদের মতে, উপরমহল থেকে সবুজ সংকেত না থাকলে দাপুটে মন্ত্রীর ছেলেকে ঘুষ নেবার জন্য গ্রেফতার করা হচ্ছে এমন হতেই পারে না। গোটা ঘটনার নেপথ্যে অন্য অঙ্ক রয়েছে।