Last Updated on November 1, 2021 11:17 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। কালীপুজো, দীপাবলিতে পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানো যাবে, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে উড়িয়ে দিয়ে একথা জানিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রিতে যাতে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে যেন মেনে চলা হয় সেদিকেও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে দেশের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক উপকৃত হয়েছে, এমনই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার সরকার কালীপুজো দীপাবলিতে পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রিতে সায় দিয়েছিল। কিন্তু গোটা দেশে বাজি নির্মাণ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে সব ধরনের বাজি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলে বাজি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ছদ্ম, মেকি পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত ও তার অনুগামীরা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে বাজি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বাজি নির্মাণ ও প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এদিন সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, সব বাজিকে নিষিদ্ধের তালিকায় ফেলা যাবে না। পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। বাজি আদৌ পরিবেশবান্ধব কিনা তা যাচাই করার ভার দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে। দূষণহীন এলাকায় পোড়ানো যাবে পরিবেশ বান্ধব বাজি। প্রসঙ্গত, এই প্রসঙ্গে এদিন কালী পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলে ভালোভাবে কালীপুজো দীপাবলি পালন করুন।
যারা বাজি ফাটাবেন, তারা সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এর নির্দেশিকার কথা মাথায় রাখবেন। তবে বাজি ফাটাতে গিয়ে অন্য কারোর যেন কোন অসুবিধা না হয়, সেদিকটাও নজর দিতে হবে।’ গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যে সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করে বলেছিল, পরিবেশ বান্ধব বাজি নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি সৃষ্টি হয়েছে। তাই, কোন ধরনের বাজিই পোড়ানো যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, এক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব বাজি কতটা পরিবেশের পক্ষে তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য প্রশাসন। যদিও, দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, উৎসবের দিনগুলিতে পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে নির্দিষ্ট একটি সময়ে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ কে জানিয়ে রাজ্যের বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষের রুটি-রুজির কথা মাথায় রেখেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় সারা বাংলা আতস বাজি উন্নয়ন সমিতি। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দেয় সমিতি। সমিতির তরফ থেকে চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানান, যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও দেশের সর্বোচ্চ পরিবেশ আদালত পরিবেশ বান্ধব আতসবাজিকে ছাড় দিয়েছে, সেখানে হাইকোর্টের রায় ৩১ লাখ আতসবাজী কর্মচারী, ব্যবসায়ীদের রোজগার বন্ধের জোগাড় করে সুভাষ দত্তের মতো কিছু ছদ্ম পরিবেশবিদ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চতম আদালতে হলফনামা পেশ করি। এবার আমরা অনেকটাই মানসিক ভাবে ধাতস্থ হয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে আমাদের পেটে রুজি-রোজগার বেঁচে গেল।