Last Updated on January 11, 2021 11:33 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এখনই দেশে নয়াকৃষি আইন প্রত্যাহার অথবা স্থগিত না করে, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট এই আইনে স্থগিতাদেশ দেবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি করবে। তবে এখনো পর্যন্ত নয়াকৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের সুপ্রিম কোর্ট একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। এইভাবে কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বিশেষ বেঞ্চে মোদি সরকারের একতরফা ভাবে কৃষি আইন পাস করানোর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী মনোভাব নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগেও একাধিকবার শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন নিয়ে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন প্রধান বিচারপতি নিজেই। আজ দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন,কেন্দ্র এই পরিস্থিতির সমাধান বার করতে অক্ষম হয়েছে। মানুষ আত্মহত্যা করছেন, বয়স্ক মানুষ, মহিলারা রাস্তার ওপর ধর্নায় বসে রয়েছেন। তার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ইগো ধরে রাখার জন্য কৃষি আইন প্রত্যাহার না করার বিষয়টি নিজেদের প্রেস্টিজ ইস্যু বলে ধরে নিয়েছে। দিনের পর দিন এই অচলাবস্থা চলতে পারে না দেশের কৃষকদের নিয়ে। আমাদের আশঙ্কা, যে কোনও দিন বিরাট হিংসা দেখা দেবে। এই মুহূর্তে আইন প্রয়োগ করার ওপর জোর দেওয়ার দরকার নেই, আগে আলোচনা শুরু করুন। এ জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হোক।
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, বহু কৃষক সংগঠন এই আইন সুবিধেজনক বলে মনে করছে। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, এমন কোনও সংগঠন আজ পর্যন্ত তাঁদের সামনে এসে এ কথা বলেনি। যদি বড় সংখ্যক মানুষ মনে করেন, এই আইনে লাভ হবে, তবে কমিটিকে সে কথা বলুন তাঁরা। কমিটি কিন্তু এই আইনের বিরোধিতা করছে যে সমস্ত কৃষক সংগঠন তাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকেও তাদের বিরোধিতার কারণ জানতে চাইবে বিস্তারিতভাবে। কিন্তু এই আইন প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রাখুন। না হলে আদালতকে তা করতে হবে। এ সময় আবেদনকারীর আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, শুধু আইনের বিতর্কিত অংশগুলির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, না, স্থগিতাদেশ জারি করতে হলে গোটা আইনের ওপরেই করতে হবে।