Last Updated on November 25, 2021 1:57 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বসিহাট মহাকুমার রাজ্য সড়ক ২, অর্থাৎ টাকি রোড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই মহকুমায় প্রায় ৩৫, লক্ষ মানুষ রয়েছে। যার একদিকে রয়েছে সীমান্ত, অন্যদিকে রয়েছে সুন্দরবন। বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর হাকিমপুর সীমান্ত থেকে হেমনগর, সামসের নগর। পাশাপাশি বসিরহাট ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত রয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। যেখানে প্রতিদিন এই রাজ্য সহ অন্যান্য রাজ্যের থেকে পণ্যবাহী ট্রাক এই রাস্তার উপর দিয়ে গিয়ে ওপার বাংলায় যায়। আবার বাংলাদেশ থেকে বহু কলকাতা হয়ে দেশের অন্য প্রান্তে পণ্যবাহী ট্রাকগুলি পৌঁছে যাবার একমাত্র সড়ক পথ মাধ্যম এই টাকি রোড। পাশাপাশি ধান্যকুড়িয়া রাজবাড়ী এবং টাকির জমিদার বাড়িগুলি পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিক নিদর্শন বহন করে। বছরের বিভিন্ন সময় পর্যটকরা টাকি রোডের উপর দিয়ে পর্যটন কেন্দ্রে গুলিতে যাতায়াত করেন। সব মিলিয়ে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ভগ্নদশা অবস্থায় চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। যার ফলে বেশিরভাগ যানবাহন ও সাধারণ
নিত্যযাত্রীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে অবরোধ, বিক্ষোভ করে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বাদ যায়নি বিরোধী দলগুলো তারাও রাস্তা সারাই দাবিতে বারবার অবরোধ বিক্ষোভ করেছেন। ইতিমধ্যে বেড়াচাঁপা থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত ২২, কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৩৩, কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ।রাজ্য পূর্ত দপ্তর তার কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ত্রিমোহিনী থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত ১৫, কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ ৩৬ কোটি টাকা। ধাপে ধাপে সেই কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এই কাজ কবে শুরু হবে। শেষ হতে কেন দেরি হচ্ছে এই প্রশ্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তুলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৭ই নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি রাজ্য পূর্ত দপ্তরের কাজ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।যে কোন মূল্যে দ্রুত এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। তাতে খুশির হাওয়া সাধারণ নিত্যযাত্রী থেকে সীমান্তের পণ্যবাহী ট্রাক চালক থেকে শুরু করে ধান্যকুড়িয়া ও টাকিতে আসা পর্যটকরাও। সব মিলিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ শেষ করার নির্দেশ পেয়ে নড়ে চড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। উত্তর 24 পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন টাকি রোডের কাজ চলছে দ্রুত কাজ শেষ হবে, তারপর ধাপে ধাপে পরবর্তী পর্যায়ে কাজ আরম্ভ হবে। স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল ইসলাম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই রাস্তা সংস্কার হোক। সেই দাবি মেনে কাজ শুরু হচ্ছে তাতে আমরা যথেষ্ট খুশি।