Last Updated on December 22, 2021 11:10 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে রাজ্যে। চাকরি পেয়েছেন বহু যুবক যুবতী। এর মধ্যেই গত ১০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে তিনগুণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেছে টাটা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা তথা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস)। মঙ্গলবার টুইটারে রাজ্যবাসীকে এই সুখবর দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, কর্মসংস্থান তৈরিতে রাজ্য সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তথ্যপ্রযুক্তিতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নয়া মাইলফলক গড়েছে বাংলা। একইসঙ্গে নয়া পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টাটা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা তথা টিসিএস ৫০ হাজার কর্মপ্রার্থীকে চাকরি দিয়েছে। ২০১১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১৫ হাজার। একধাক্কায় তিনগুণ বেড়েছে কর্মসংস্থান। প্রসঙ্গত, জন সাধারণের রায়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দুরন্ত জয়লাভ করেছে বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন দল তৃণমূল। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, আসন সংখ্যার নিরিখে প্রথমে ২১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় লাভ করে তৃণমূল।
এরপর ৫ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করেন। ইতিমধ্যেই জয়যুক্ত মা-মাটি-মানুষের তৃতীয়বারের সরকারের তরফে নেওয়া অসংখ্য উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বণিকসভা ও শিল্পপতিরাও। একইসঙ্গে তাঁরা ব্যক্ত করেছেন শিল্পের উন্নয়নে নতুন সরকারের কাছে তাঁদের আশা৷ কারও আশা, ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী পাঁচ বছরে শিল্পের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করা, কেউ চাইছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বড় শিল্পগুলির কথাও ভাবা হোক৷ আবার কেউ চাইছেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে আরও বেশি সম্পর্ক স্থাপন করুক রাজ্য সরকার৷ আগামী এপ্রিল মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই মুম্বাই সফরে গিয়ে দেশের তাবড় শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার স্বয়ং গৌতম আদানি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। বিজিবিএস -এ তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। তাজপুর বন্দরে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। এদিকে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বিজিবিএস-এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি-মমতার তৃতীয়বারের সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য।