Last Updated on March 28, 2023 7:29 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বেলুড় মঠ দর্শন করে আবেগাপ্লুত রাষ্ট্রপতি। আবার মঠে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তিনি। মঙ্গলবার বেলুড় মঠ দর্শনে আসেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন সকালে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই ৮-৪৬ মিনিট নাগাদ বেলুড় মঠে প্রবেশ করে রাষ্ট্রপতির কনভয়। বেলুড় মঠে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী সহ মঠের সন্ন্যাসীরা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।মূলত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দর্শনেই বেলুড় মঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। তিনি এদিন ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, মা সারদা দেবীর মন্দির, স্বামীজীর গৃহ সহ ব্রহ্মান্দজীর মন্দির মঠের ব্যাটারিচালিত টোটোয় পরিদর্শন করেন। বেলুড় মঠে এসে প্রথমেই শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মন্দিরে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। এরপর সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে চড়ে বেলুড় মঠের বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি যান স্বামী বিবেকানন্দের আবাস গৃহে। সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেইসঙ্গে স্বামীজির ব্যবহৃত সমস্ত সামগ্রী ঘুরে দেখেন। এরপর সেখান থেকে সারদা মায়ের মন্দির, ব্রহ্মানন্দের মন্দির ও স্বামীজির সমাধি মন্দিরে যান তিনি।
বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে মা সারদা দেবীর পূজিত শাল, শাড়ি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও ঠাকুর, মা এবং স্বামীজীর উপর লেখা বই উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া হয়। এরপর সকাল ৯-১৭ মিনিট নাগাদ বেলুড় মঠ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি। এদিন রাষ্ট্রপতির সফর প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ বলেন, এদিন সকালে ৮-৪৬ মিনিট নাগাদ বেলুড় মঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। আধ ঘন্টা তিনি মঠ ঘুরে দেখেন। এরপর ৯-১৭ নাগাদ তিনি মঠ থেকে রওনা হন। সবকিছু দেখে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। তিনি আবার বেলুড় মঠে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রথমত সময়ের অভাব, দ্বিতীয়ত প্রেসিডেন্ট মহারাজদের জীবন অন্যরকম। তবে ওনার আক্ষেপ নেই। কারণ আগে থেকেই রাষ্ট্রপতিকে প্রোগ্রামের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অন্য সময়ে এসেছিলেন বলে তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মহারাজ অনেক কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন তিনি রাত ১০টাতেও দেখা করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট মহারাজের জীবনের ছন্দ সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। আমরা তালিকা পাঠানোয় তিনি জানতেন প্রেসিডেন্ট মহারাজের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে না। স্বামীজির ভিশন এবং মিশন অনুসারে দ্রৌপদী মুর্মু স্বামীজির মডেল উওমেন। রাষ্ট্রপতি ঠাকুরকে অর্ঘ দিয়েছেন। যখন তাঁকে বলা হয়েছিল যে স্বামীজির নির্দেশে এখানে নশ্বর দেহ দাহ করা হয়েছিল। এখানেই স্বামীজির দেহ আছে। তখন তিনি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ভক্তি সহকারে স্বামীজির মন্দিরে প্রবেশ করেন। দেখে খুব খুশি মনে হল। তাঁকে উপহার স্বরূপ মায়ের প্রসাদী শাড়ি এবং প্রসাদী শাল এবং ঠাকুর মা, স্বামীজি সম্পর্কে সর্বশেষ প্রকাশিত বই উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এদিন রাষ্ট্রপতির বেলুড় মঠ সফর উপলক্ষে হাওড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।