রাজ্যের বনাঞ্চলে কোথাও বেআইনি দখল নেই, জানালেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

0

Last Updated on March 13, 2023 9:05 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। গরুমারা জাতীয় উদ্যান বা লাটাগুড়ি জঙ্গল- জাতীয় কিংবা রাজ্যের জঙ্গল দখল করে কোনভাবেই কোন রিসর্ট গড়ে ওঠেনি রাজ্যে। এক কথায় রাজ্যের বনাঞ্চল কোথাও দখল হয়নি, সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে দলিল, তথ্য পেশ করে একথাই জানালেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন বিধানসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে বাজপা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের জমি দখল করে রিসর্ট তৈরি করছে অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপ। ভাজপা বিধায়কের তোলা প্রশ্নকে এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়ে দেন, রাজ্যের কোথাও বনাঞ্চল দখল করে কোন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, লাটাগুড়িতে অম্মুজা নেওটিয়া গ্রুপ তাদের অম্বুজা বন্য আবাস নামের একটি আবাসন প্রকল্প তৈরি করছে। কিন্তু এই আবাসন প্রকল্পটি লাটাগুড়ি জঙ্গল থেকে ২০০ মিটার দূরে এবং এবং গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে ৩.২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, কোনভাবেই এই প্রকল্পটি আমাদের জমির উপর পড়ে না। আসলে বিজেপি বিধায়করা কোনটা জাতীয় উদ্যান কোনটা জঙ্গলে স্টেট, সেই সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করছে ওরা। প্রসঙ্গত, অম্বুজা বন্য আবাসন প্রকল্পটি ২৩২১.৫৫ ডেসিমেল এলাকায় ৪৭টি অংশে বিভক্ত। প্রকল্পটির জেএল নাম্বার ৯২, মৌজা- ঝড়মাতিয়ালি, থানা- মাল, জেলা- জলপাইগুড়ি, দাগ নাম্বার ৬৭৪ থেকে ৮৬৬ । অভিযোগ পাওয়ার পরেই প্রকল্পটির পয়েন্ট টু পয়েন্ট মাপ নেওয়া হয়। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, ‘ওরা সবটা গুলিয়ে ফেলে। বিজেপির কাজই হল এই। বাংলায় এখন চোরাশিকার শূন্যতে নেমে গেছে। রাজ্যের ২১ শতাংশ বনাঞ্চল। ‌তার পরেও বনাঞ্চলকে রক্ষা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, লাটাগুড়ি রেঞ্জের ৩০ কিংবা ৫০ মিটার দূরে একাধিক হোটেল তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে থেকেই। কিন্তু কোথাও জঙ্গলের জমি অধিগ্রহণ করে কিংবা দখল করে রাজ্যের কোথাও কোন বনাঞ্চল তৈরি হয়নি। এদিন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, বক্সা জঙ্গল যখন তৈরি হয়, তখন বিভিন্ন জনগোষ্ঠী এখানে এসে বসবাস করা শুরু করে। কিন্তু বক্সা জঙ্গলে বাগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ১৭ টি জনগোষ্ঠী বক্সা জঙ্গলের ভেতরে বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার। বক্সা জঙ্গলের থেকে গাঙ্গুটিয়া এবং গুটিয়া বস্তির জনগোষ্ঠীদের সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা স্বইচ্ছায় এই জঙ্গল থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। বদলে তাদের পরিবারের প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। বক্সা জঙ্গলটি আদতে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থাৎ কেন্দ্রীয় উদ্যানের অন্তর্গত। তাই এই ক্ষতিপূরণের অর্থ কেন্দ্রের দেওয়া উচিত। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার একটি অর্থ আমাদের দিচ্ছে না। যার ফলে রাজ্যের উদ্যোগেই এই সকল জনগোষ্ঠীগুলোর স্বার্থে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here