Last Updated on February 18, 2023 7:28 PM by Khabar365Din
মমতার বিরুদ্ধে ঘোট করতে অমর্ত্যের বাড়িতে নির্লজ্জ সিপিএম
রাজ্যের স্কুল শিক্ষা রসাতলে অমর্ত্যর সমর্থন চাই

৩৬৫ দিন। একেই বলে মমতাঙ্ক ! মমতার সাক্ষাতের পরেই হঠাৎ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করতে ছুটলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এযাবৎকাল লাগাতার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ যখন ভাজপা এবং আর এস এস -এর অ্যাজেন্ডা মত নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্যকে লাগাতার ব্যক্তিগত আক্রমণ করছিলেন, তাঁর নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন তখন কিন্তু এই সুজন বাবু এবং তাঁর দল সিপিএম কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের সমালোচনা করে একটি বাক্য-ও খরচ করেনি আলিমুদ্দিন স্ট্রীট, কয়েক দিন আগে শান্তিনিকেতনে অমর্ত্যের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন মমতা। যে জমি অন্যায় ভাবে তাঁর থেকে কাড়তে চাইছেন বিদ্যুৎ সেই জমি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি তাঁর হাতে তুলে দেন আর এতেই আতঙ্কিত সিপিএম। ঘোলা জলে মাছ ধরার এই সুযোগ কি আর হাত ছাড়া করা যায় ! হঠাৎ তাই অমর্ত্যের প্রতি দরদ উথলে উঠেছে সিপিএমের। তবে শুধু শুধু চা জলখাবার খেতে তো আর যাওয়া যায় না, কুটকাচালি কিছু তো করতে হবে ! অতঃপর অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ যার অবশ্যই কোনও ভিত্তি নেই সেই সব করে এলেন সুজন এন্ড কোং।
শুক্রবার বামরাম জোটের অন্যতম কারিগর সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সিপিএমের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শান্তিনিকেতনে প্রতীচীর বাসভবনে যান। দেখা করেন প্রফেসর সেনের সঙ্গে। সাধারণত সুযোগ বুঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামার স্বভাব আলিমুদ্দিনের নেতাদের নতুন নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ কে হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারকে বিপাকে ফেলতেই শান্তিনিকেতনের ছুটতে হয়েছে সুজন চক্রবর্তীদের। অধ্যাপক সেনের প্রতীচী ট্রাস্টকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকার বিরোধী সমীক্ষা করানোই ছিল লক্ষ্য। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের লাভের লাভ হলো না। রাজি হন নি অমর্ত্য সেন
কমরেডদের এজেন্ডা কি?
এবছর নাকি চার লাখের উপরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ড্রপ আউট করেছে। রাজ্য সরকার গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের নাকি পড়াশোনা সুযোগ করে দিতে পারছে না। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে অনিহা তৈরি হয়েছে বাংলার বড় অংশের পড়ুয়াদের মধ্যে। তৃণমূল সরকারের আমলে নাকি শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামের অর্থনীতিও নাকি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। মোদ্দা কথা হল, মমতার আমলে বাংলার নাকি খুব খারাপ অবস্থা। শিক্ষা নেই, অর্থনীতি নেই, কর্মসংস্থান নেই। এই ৩ মিথ্যা অভিযোগ কে হাতিয়ার করেই প্রফেসর সেনকে দলে টানতে চেয়েছিলেন সুজনরা। লক্ষ্য ছিল একটাই, জমি বিতর্কে যখন সমস্ত সরকারি নথি নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের হাতে তুলে দিয়ে নিজের ভূমিকা পালন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে একবার যদি বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ও অর্থনীতি ভেঙে গিয়েছে এই মর্মে প্রতীচী ট্রাস্ট সমীক্ষা করার জন্য রাজি হয়, যদি একবার রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন, যদি একবার সেই সুযোগে তৃণমূল সরকার কে গালমন্দ করা যায়। তাহলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেল্লাফতে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে যতই দলে টানার চেষ্টা করুক না কেন সিপিএম। সূত্রের খবর তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই ধরনের সমীক্ষা করে না তার ট্রাস্ট। ফলে হতাশ মুখেই গলায় লাল উত্তরীয় পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে হল সুজন চক্রবর্তীকে। এমনকি সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত স্কুল ড্রপ আউট ও গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতেই বাধ্য হলেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি করতে হল।