Last Updated on August 24, 2023 12:58 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। র্যাগিং করে মেরে ফেলার পর ধৃতরা নজিরবিহীনভাবে ষড়যন্ত্র করে আসামিদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে।এই রকমের করা ভাষাতেই এদিন আদালতে সবল করলেন যাদবপুর কাণ্ডে নিযুক্ত বিশেষ সরকারি আইনজীবী । ফলে ধৃতদের মধ্যে প্রথম সৌরভ চৌধুরী ও তার পরে ধৃত ২ জনকে এদিন আদালতে হাজির করানো হয় পুলিশ হেফাজত থেকে।এদিন আইনজীবী আদালতকে নিহত ছাত্রের ওপর হওয়া বেশ কিছু অত্যাচারের ঘটনা যা তদন্তে উঠে এসেছে তাও আদালতে জানান ।
এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ১৩। মঙ্গলবার ধৃত সৌরভ, দীপশেখর ও মনতোষকে আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ তাদের ফের হেফাজতে নিতে আবেদন করে। আবেদনের বিরোধিতা করে সৌরভের আইনজীবী বলেন তার মক্কেলের কাছ থেকে আর কিছু জানার নেই ও এতদিনে পুলিশ যা জানার সব জেনে নিয়েছে বলে দাবি করে করে তার জেল হেফাজত চান ।অন্যদিকে মনতোষের আইনজীবী দাবি করেন যে তার মক্কেলের নাম এফআইআরে নেই। নিহত ছাত্রকে মানবিকতার স্বার্থে হস্টেলে থাকতে দিয়েছিল মাত্র। এদিন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের কাউন্সেলিং করানো দরকার বলে আদালতে দাবি জানান।যদিও সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি বিচারক।এদের সবাই যে খুব মেধাবী পড়ুয়া তাও বারবার উল্লেখ করেন ধৃতদের আইনজীবী ।
এর জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন কেউ পরীক্ষায় ভালো ফল করলে আইন তাঁকে খুন করার অধিকার দেয় না। ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে। যা বিরলতম। শুধু তাই নয়, খুনের পর এরা নিজেদের বাঁচাতে নানা ষড়যন্ত্র করেছে। রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করেছে তারা। যারা তাদের থেকে বয়সে ছোট ছাত্রদের উলঙ্গ করে ঘোরায়। উলটো করে শুয়ে থাকতে বাধ্য করে তাদের আবার কাউন্সেলিং। ওদের ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হোক। ওদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। তাতে আরও অনেক কথা বেরিয়ে আসবে।
তিনি জানান মনতোষের ডায়েরিতে লেখা রয়েছে কী ভাবে ব়্যাগিং করেছে তারা। কার কার সঙ্গে এই কাণ্ড তারা ঘটিয়েছে সেসবও জানা দরকার বলেই পুলিশ হেফাজত চান তিনি । এর পরই ধৃতদের ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।
উল্লেখ্য প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। তারপরই মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে বাকি ১০ জনকে। এদের পরবর্তী ২৫ অগাস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে।