Jadavpur University: আদালতে পুলিশের তিন দফা অভিযোগ জয়দীপের বিরুদ্ধে

0

Last Updated on August 21, 2023 5:16 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া সহ পুলিসকে আটকে দেওয়া ও সাক্ষ্য বিকৃতির মতো মারাত্মক অভিযোগে ধৃত জয়দীপকে ঘোষকে রবিবার আলিপুর এসিজেএম আদালতে পেশ করে পুলিশ ।শনিবার রাতেই জয়দীপকে ওই প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত ২৪ তারিখ অবধি জয়দীপের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।অন্যদিকে সেন্ট্রাল লক আপ থেকে যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃত সৌরভও একটি লাল টি শার্ট পরে প্রিজন ভ্যানে আদালত চত্বরে আসে।
এদিন সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানিয়েছেন রবিবারের মামলাটি যাদবপুরের বিষয়ে হলেও মূল খুনের মামলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি মামলা । এই মামলাতে অভিযোগ কর্তব্যরত পুলিশকে বাধাদান যার ফলে জামিন অযোগ্য ৩৫৩’র আইপিসি ধারা এখানে প্রযোজ্য । এদিন আদালতে তিনি জানান এই জয়দীপই এই গেট বন্ধ রেখেছিলেন হস্টেলের যখন পুলিশ সেখানে গেছিলো ।এছাড়াও পড়ে যাওয়ার পর ওই ছেলেটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই মুহূর্তে পুলিশকে তার কাছে যেতে দেওয়া হয়নি বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ফলে পুলিশকে ট্যাক্সির পিছু পিছু যেতে হয়েছিল ।

তাই হাসপাতালের পথে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি যদি কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো তাও [আইনি পুলিশ । এই বিষয়গুলি সরাসরি সাক্ষ্য বা ডাইরেক্ট এভিডেন্স হতে পারতো ।এদিন সওয়াল জবাব পর্বে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, ধৃত জয়দীপকে প্রাথমিক জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, মৃত ছেলেটির মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নিতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। এমনকী হাসপাতালে গেলেও পুলিশকে মৃত পড়ুয়ার কাছে প্রথমে যেতে দেয়নি অভিযুক্তরা, দাবি সূত্রের। তার দাবি মৃত্যুকালীন জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওই ছাত্রের বয়ান পাওয়া যেত, তাহলে হয়ত এতক্ষণে তদন্তের মোড় অন্য পথ নিত।কিন্তু ধৃত জয়দীপের মূল মামলার আসামীদের সহযোগী বলেই আদালতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে ।

এই ঘটনায় জয়দীপের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে সে জানিয়েছে।তবে তারা কারা করা তা জানতে তাকে আরও জেরার প্রয়োজন । তবে জয়দীপের তরফে আইনজীবী পুলিশের দাবির বিরুদ্ধে তেমন যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মনে করেই আদালত তাকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান। এদিন যাদবপুর কাণ্ডের অন্যতম মূল মাথা সৌরভ ও আদালত চত্ত্বরে প্রিজন ভ্যানের মধ্যে থেকে তারা দোষী নয় জাতীয় উক্তি ছুড়ে দেয় উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের তরফে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে খুনের মামলাতে ইতমধ্যেই পড়ুয়া ও প্রাক্তনী ১২ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে ।১১ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় সৌরভ চৌধুরীকে। ১৩ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ নামের দুই পড়ুয়াকে। ১৬ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় সপ্তক কামিল্যা, অসিত সর্দার, মহম্মদ আরিফ, সুমন নস্কর, অঙ্কন সর্দার, মহম্মদ আসিফ আজমলকে। ১৮ অগস্ট গ্রেফতার করা হল শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে। এই মামলার তদন্তে পুলিশ গেলে পুলিশকে বাধা দেওয়ার মামলাতে শনিবার গ্রেফতার হন জয়দীপ ঘোষ।ফলে এদের মধ্যে একটা যোগ সূত্র খুঁজে পাওয়ার পরেই এদেরকে নিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে দুটি আলাদা মামলা হলেও তদন্তে ইতিমধ্যেই এরা একে ওপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল বলেই জানতে পারছে তদন্তকারীরা ।সেক্ষেত্রে একসঙ্গে তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও পুলিশি হেফাজত রেকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে বলেই পুলিশের দাবি ।