Last Updated on April 16, 2022 8:58 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ বিধানসভা ভোটে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি হারিয়েছিলেন ভাজপা প্রার্থী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। সিপিএমের ফুয়াদ হালিম পেয়েছিলেন মাত্র ৮৪৭৪ ভোট। সেখানে এবারে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনেও বাবুলের (Babul Supriyo) জয়ের মার্জিন দাঁড়ালো ২০০৩৮ । বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেখানে এ বার পড়েছে মাত্র ৪১ শতাংশ। সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর প্রয়াণে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচনের (Ballygunge Assembly By-poll) তৃণমূল প্রার্থী করেছিল কিছুদিন আগেই ভাজপা ছেড়ে আসা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। তৃণমূলের (TMC) ঝড় এবং মমতার (Mamata Banerjee) উন্নয়নে ভরসা রেখে বালিগঞ্জ বিধানসভার মানুষ তৃণমূলের চিহ্নে ভোট দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে ভাজপাতে থাকাকালীন মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয়র বিভিন্ন মন্তব্য ভোটের প্রচারে সিপিএম এবং তাদের সহযোগী ভাইজানের দল মুসলমান সমাজের কাছে তুলে ধরায়, জয়ের ব্যবধান কমে গেল অনেকটাই।
সেই সঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় আসানসোলে বাবুলের বিভিন্ন সংখ্যালঘু বিরোধী মন্তব্যের জেরে এবারে সংখ্যালঘুদের একাংশ যেভাবে নো ভোট টু বাবুল – শুরু করেছিল বা আদতে সাহায্য করেছে সিপিএমকে। কারণ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের প্রায় অর্ধেক সংখ্যালঘু। ট্র্যাডিশনালি বালিগঞ্জ বিধানসভার সংখ্যালঘু ভোটাররা তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে এলেও এবারে ব্যক্তিগত অপছন্দের জন্য বাবুলকে ভোট না দিয়ে ভাজপাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য নিতান্ত বাধ্য হয়ে ভোট দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রাকে। ভোটের ফলে স্পষ্ট, বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চারটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে বড় ভাঙন ধরিয়েছেন বাম প্রার্থী। অন্যদিকে দীর্ঘক্ষণ চার নম্বরে ধুঁকতে ধুঁকতে কোনমতে তৃতীয় স্থানে এসে যাত্রা শেষ করেছেন বালিগঞ্জের ভাজপা প্রার্থী কেয়া ঘোষ। তবে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএমের ভোট শতাংশ বাড়লেও তা নিয়ে আলিমুদ্দিনের নেতারা যেভাবে লাফালাফি শুরু করেছেন তা কার্যত ভিত্তিহীন। এতগুলি উপনির্বাচনের পরেও বিধানসভায় নো এন্ট্রি সিপিএমের।