Last Updated on May 17, 2021 10:33 PM by Khabar365Din
খবর ৩৬৫ দিন টিম
৩৬৫দিন। সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে অসাংবিধানিকভাবে তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলতেই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের ৩ হেভিওয়েট নেতাকে।কিন্তু তৃণমূলের টানা ১০ ঘন্টার লড়াইয়ে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল ভাজপার। একদিকে রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের কোঅর্ডিনেশন, অন্যদিকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল শুনানির সয়ালজবাবেই বাজিমাত করে জয় ছিনিয়ে আনলো তৃণমূল। সোমবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম , সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার পর দুপুর থেকে বিশেষ সিবিআই আদালতে শুরু হয় ভার্চুয়াল শুনানি। তৃণমূলের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।এছাড়াও ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নিজেদের আইনজীবীও হাজির ছিলেন শুনানিতে। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী চট্টোপাধ্যায়, অশোক দেব , নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের মত আইনজীবীরা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালত শুনানি শুরু হতেই সিবিআইয়ের তরফে তৃণমূল নেতাদের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়।তারপর ১০ মিনিট বাদে আবার জেল কাস্টডির জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করে সিবিআইয়ের আইনজীবী। তৃণমূলের আইনজীবিদের পক্ষে বলা তখন সওয়াল করে বলা হয়, প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্ট সুপ্রিম কোর্টের যত রায় রয়েছে , সেখানে বলা হয়েছে প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্ট অনুযায়ী যে প্রথমে ঘুষ চাইতে হবে এবং পরে সেই ঘুষ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নারদার কনককটেভ ভিডিও কোথাও টাকা চাইতে দেখা যায়নি। দ্বিতীয়ত যেভাবে সিবিআই গ্রেফতার করেছে তা একেবারেই অনৈতিক। কারন সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে এই কোভিদ পরিস্থিতিতে অহেতু কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা যাবে না। ২০১৬ সালে ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ২০১৭ সালে এফ আইআর হয়। তারপরে ৪১ নম্বর ধারায় যতবার নোটিশ করা হয়েছে, ততবার সিবিআই এর কাছে হাজিরা দিয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে বলে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে , গত ৬ বছর ধরে এই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা কি প্রভাব খাটিয়েছে তাও জানতে চাই। আর প্রমাণ বলতে রয়েছে কনককটেভ ভিডিও যার কোনো সত্যতা নেই। তৃতীয়তঃ গ্রেফতারের জন্য অনুমতি দিয়েছে রাজ্যপাল। কিন্তু কোনোভাবেই রাজ্যপালের একটি আর নেই অনুমতি দেওয়ার। এটা অসাংবিধানিক। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের মতামত ছাড়া কোনো কাজ করতে পারে না। গ্রেফতার করার জন্য গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাইছি সিবিআই।কিন্তু গত ৯ মে মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে গোপনে গ্রেফতারি অনুমতি দেয় সিবিআইকে। সংবিধানে এরকম কোনো ধারা নেই। যেখানে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারেন রাজ্যপাল। এমনকি বিধানসভার স্পিকার ও প্রোটেম স্পিকার কারোর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়নি।