Last Updated on December 8, 2020 12:55 AM by Khabar365Din
অশােককুমার মণ্ডল। মেদিনীপুর
মমতা ম্যাজিকে উদ্বেল মেদিনীপুর। গত লােকসভা নির্বাচনে বন্দুকের নলের ডগায় ভয় দেখিয়ে বিজেপি আসন জিতলেও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড় গ্রামের মানুষের সমর্থন যে এখনাে মমতার সঙ্গে আরাে একবার প্রমাণ হয়ে গেল আজ। সেইসঙ্গে মমতা ছাড়া কোন নেতার ব্যক্তিগত ক্যারিশমায় যে মেদিনীপুরের মানুষ বিশ্বাস করেন না, তাও প্রমাণিত। তাই প্রথম থেকেই আজ আক্রমনাত্মক বক্তব্য মমতা বলেন, কেউ কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ব্ল্যাকমেইল করে বার্গেনিং করার চেষ্টা করছে, তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। বিজেপি ও তার কাছের বন্ধুদের পরিষ্কার করে বলছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে, আজীবন লড়াই করে বেঁচে আছে। লুটেরাদের প্রােটেকশন দিচ্ছেবিজেপি। দল ভাঙার চেষ্টা করছে, সরকার ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। সােমবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের জনসভা থেকে হুংকার দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে। তৈরি করে দিলেন স্লোগান, ২০২১ আমাদের, ২০২১ এর বাংলা আমাদের। জনগণ আছে সঙ্গে, তাই তৃণমূল আসছে বঙ্গে। তৃণমূল এখন বটবৃক্ষ, বিজেপি তুমি যে কোন দলকে কিনতে পার, চ্যালেঞ্জ করছি তৃণমূলকে কোনদিন কিনতে পারবে
সিপিএম হার্মাদ, বিজেপি ভক্ষক কংগ্রেস তক্ষক
সিপিএম হার্মাদ তৈরি করে কঙ্কাল কান্ড করেছিল, কেশপুর, গড়বেতা, নেতাই করেছিল আজ তারা বিজেপির সবচেয়ে বড় রক্ষক। কংগ্রেস তক্ষক। অঙ্কা-বঙ্কা-সঙ্কা। এরা নাকি দেশ চালাবে! মনে রাখ বেন, ৩৪ বছর ধরে লড়ে এখানে এসেছি। কারও দয়ায় আসিনি। মনে নেই, কত হত্যা হয়েছে কেশপুরে, মনে নেই নন্দীগ্রামে কত মানুষকে খুন করেছেন। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি ঘােলা জলে মাছ ধরতে বেরিয়েছে। দাঙ্গা লাগাচ্ছে, সরকার ভাঙছে, ঘর ভাঙছে। আগে নিজেদের ঘর বাঁচাও।
বাংলায় বহিরাগত
বাইরের গুন্ডা, বহিরাগতদের বাংলা দখল করতে দেব । সাধারণ মানুষ, দলের কর্মী সকলকে বলছি, ব্লকে ব্লকে নজর রাখুন। ওরা হিন্দু মুসলিম ভাগ করছে, অধিকারী- চ্যাটার্জীর মধ্যে ভাগাভাগি করছে। টাকা বিলাচ্ছে, তােমাদের সব থাকলেও, তৃণমূলের মত একজন কর্মী নেই। এলপিজি গ্যাস কারা পায়, তাদের নামের তালিকা চেয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গ ভারত বন্ধ
আগামীকাল কৃষকদের আন্দোলন সমর্থন করছি আমরা। বনধ না করলেও, দলের তরফে কাল আমরা কৃষকের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি। কাল রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে আমাদের আন্দোলন চলবে। দিল্লি এখন আলু খাবে, মুলাে খাবে, কিন্তু মানুষকে দেবেনা। কোভিডে ওরা এক টাকা দেয়নি। কোভিডের নাম করে পিএম কেয়ার ফান্ডে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। প্রসঙ্গ ছত্রধর মাহাতাে এদিন সভা শুরুর প্রথমেই ছত্রধর মাহাতােকেস্টেজের সামনে ডেকে নেন জননেত্রী। মমতা বলেন, আমি কখ নও অতীত ভুলি না। ছত্রধর, দীর্ঘদিন ওর সঙ্গে সংগ্রাম করেছি। ২০০৮ সালে ওকে মাওবাদী তকমা দিয়ে। গ্রেফতার করা হয়। এখন ও মুক্তি পেয়েছে।
অনুপস্থিত অধিকারী পরিবার।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সভায় পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত বিধায়ককে উপস্থিত থাকার জন্য। কিন্তু দুই জেলার সমস্ত তৃণমূল বিধায়করা উপস্থিত থাকলেও তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী, বিধায়ক সৌমেন্দু অধিকারী, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এদিনের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
চুরির টাকা প্রসঙ্গে
গােটা দেশে যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সরকারের ক্ষমতা দখল করছে বিধায়ক কেনাবেচা করে তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, চুরি করে চুরির টাকা রাখার জায়গা হচ্ছে বিজেপি। বিজেপি হচ্ছে বড় আইডেন্টিটি কার্ড। একটার পর একটা চুরির টাকা দিয়ে সরকার ভাঙছে। যতই চেষ্টা করুক না কেন, একটা শপথ ২০২১ আমাদের।