Last Updated on October 7, 2021 11:19 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। স্পিকার নন, বিধানসভায় নজিরবিহীনভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক পদে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন মমতা। বাংলার বিধানসভার ইতিহাসে প্রথা বিরুদ্ধ ভাবে প্রথমবার বিধানসভায় এসে উপ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতাকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর পরে রাজ্যপাল বললেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এদিন যেমন বিধানসভায় রাজ্যপালের এসে শপথ বাক্য পাঠ করানোর ঘটনা নজিরবিহীন হয়ে থাকল, একটা এমন ভাবেই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে শপথ গ্রহণের নজির তৈরি হলো। এতদিন বিধানসভার নৌশের আলি কক্ষে বিধায়কদের শপথগ্রহণ হলেও, এদিন অধিবেশন কক্ষে শপথগ্রহণ হয়।
ভবানীপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে বিজয়ী হওয়ার পরে আজ মমতা ছাড়াও শপথ নেন সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের দুই তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। তবে পরিষদীয় সৌজন্যে জলাঞ্জলি দিয়ে আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভাজপার কোনও বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন না। শাসক দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, বিজেপি হাজির থাকল না আজকে। যারা বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ হতে চায়। যারা বাংলায় ২০০ পাব বলেছিল, তারা কেউ আসল না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো নয়৷ যদিও এদিন এখনো পর্যন্ত খাতায়-কলমে ভাজপা বিধায়ক হিসেবে নাম থাকা মুকুল রায় উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায়।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর স্পিকারের ঘরে চা-চক্রে সৌজন্য বিনিময় করলেন দু’জনে। বিধানসভা ছাড়ার সময়ে রাজ্যপাল বললেন, এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রসঙ্গত, বিধানসভা থেকে ৪ অক্টোবর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু সম্মতি মেলেনি। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার রাজভবনে তরফে টুইট করে জানানো হয়, ৭ অক্টোবর বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী-সহ নবনির্বাচিত ৩ বিধায়ককেই শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেইমতো এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হল। রাজভবনে সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আর বিধানসভায় বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বা স্পিকার। কিন্তু চাইলে রাজ্যপালও কিন্তু সাংবিধানিক ক্ষমতাবলেই বিধানসভায় গিয়ে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন।
তবে, এ রাজ্যের রাজ্যপালরা এতদিন সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী সেই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকারকে। এবার সেই অধিকার ফিরিয়ে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে রাজ্য সরকার বিধানসভা দেই মমতার শপথ গ্রহণের বিষয়ে অনড় থাকায় রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বিধানসভা ভবনে এসে শপথ বাক্য পাঠ করতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল। তবে যাবতীয় কোভিড প্রটোকল মেনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আগাগোড়া মুখে মাস্ক দেখা যায়নি রাজ্যপালের।