ক্লাব গুলিকে কেন অনুদান? পূজো আসতেই আবার আদালতে ছুটলো সিপিএম

0

Last Updated on September 19, 2023 5:47 PM by Khabar365Din

৬৫ দিন। সিপিএম বাংলার ভোট বাক্সে শূন্যে পরিণত হয়েছে বহুদিন। মানুষের সমর্থন না থাকলেও বারে বারে বাংলার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করার জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং চাকরি আটকানোর জন্য সিপিএমের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদালত। বিগত কয়েক বছরের মত এবারে তাই আবার দুর্গাপুজো আসতেই কলকাতা হাইকোর্টে ছুটে গেল সিপিএম। থেকে যেমনটা প্রত্যেক বছর যে কোন ভোট ঘোষণা হলেই সিপিএম আদালতে ছুটে যায় যে কোন অছিলায় ভোট বন্ধ করা অথবা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য! জনৈক সিপিএম নেতা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী বাংলার নথিবদ্ধ দূর্গা পূজা কমিটি গুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তার বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের কাছে মামলাকারীর আবদার অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। দুর্গাপূজা কমিটি গুলিকে যেন একটি পয়সাও সরকারি অনুদান না দেওয়া হয়।

তবে এবারই প্রথম নয়, সেই 2018 সাল থেকে অর্থাৎ যে বছর থেকে মমতা বাংলার দুর্গা পূজা কমিটি গুলিকে সরকারি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা শুরু করেছেন তখন থেকেই প্রত্যেক বছর দুর্গা পূজা এলেই আদালতে আদালতে ঘুরে বেড়ান এই সিপিএম নেতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অথচ ২০১৮ সাল থেকে প্রত্যেকবারেই প্রথম দফায় কলকাতা হাইকোর্ট এবং দ্বিতীয় দফায় করে সুপ্রিম কোর্টে ছুটে গিয়েও মুখ পুড়িয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। প্রত্যেকবারেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে দুর্গা পুজো যেহেতু বাংলার তথা বাঙালির প্রধান উৎসব সেখানে রাজ্য সরকার যে সমস্ত যুক্তিতে এই পুজো কমিটি গুলিকে সরকারি অনুদানের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা কোনোভাবেই অবৈধ বা বেআইনি নয়। গতবছরও এই মামলাকারী সিপিএম নেতার বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে আইনজীবী রেখে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ছুটে গিয়েছিলেন পুজো কমিটি গুলিকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করতে। কিন্তু বিচারপতিরা স্পষ্ট ভাষায় সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।

আজ আবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মামলা গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্পষ্ট ভাষায় রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলার ক্ষেত্রে দূর্গা পূজা কোন একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান নয়, এটি এখন সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাশাপাশি বাঙালির জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রধানতম উৎসব।

আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার দুর্গা পুজো কমিটি গুলিকে সরকারি অনুদান দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে নিযুক্ত করার পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে এই অনুদান দেওয়া হয় সেই কথা জানিয়ে চলতি বছরের ২২ অগাস্ট প্রত্যেক দুর্গাপুজো পিছু ৭০ হাজার টাকার থেকে অনুদানের ঘোষণা করেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে মামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা নিজেও। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বলেন,
অনুদান ঘোষণা করলে তো আবার কোর্টে চলে যাবে কেউ কেউ। আমি জানি কিছু কিছু আরশোলা বসে আছে বাইরে। বলবে আমরা ক্লাবগুলোকে কিনতে চাইছি। কালকেই জনস্বার্থ মামলা ঠুকে দেবে। আমরা টাকাটা এই কারণে দিই যে ক্লাবগুলো সরকারের প্রকল্পগুলির প্রচার করে। মানুষের সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করে।