Last Updated on December 25, 2021 12:32 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বাংলাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চে বিধ্বংসী আগুন শুক্রবার রাত পর্যন্ত নিহত অন্তত ৩৮ জন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায়। বৃহস্পতিবার রাতে ‘এমভি অভিযান’ নামে একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। বেশিরভাগ যাত্রী সেইসময় ঘুমোচ্ছিলেন ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বহু যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন আতঙ্কে অনেকে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। মাঝ নদীতে এই ঘটনা ঘটায় প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজে দেরি হয়। পরে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এদিকে লঞ্চে মোট কতজন যাত্রী ছিলেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রশাসনের কাছে নেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
৭০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও বেসরকারি সূত্রে খবর আহতের সংখ্যা অন্তত ২০০। আগুন থেকে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ছিলেন ফলে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ ফলে মৃতের সংখ্যা আরো অনেকটাই বাড়তে পারে। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কিভাবে আগুন লাগলো তা পরিষ্কার নয় এ বিষয়ে তদন্ত চলছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন ছড়ায় সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বলেও অনেকে জানিয়েছেন এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে তবে মনে করা হচ্ছে প্রথমে এক তলায় আগুন লাগে পরে তার লঞ্চের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে যায়। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া এবং নদীর হাওয়ায় দ্রুত আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। লঞ্চের সেভাবে আগুন নেভানোর কোন বন্দোবস্ত ছিল না বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের খবর দেয়া হচ্ছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে সেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর কিভাবে আগুন লাগলো তা পরিষ্কার করে বলা সম্ভব হবে।