Last Updated on November 9, 2021 7:35 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বিশেষ প্রতিবেদন। ঢাকা। প্রথমে সাম্প্রদায়িক হিংসা আর এবার বাংলাদেশে সরাসরি টার্গেট শিল্পপতিরা। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রকে নষ্ট করে দেওয়া এবং অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া। বাংলাদেশের শিল্পপতিদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা। বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে গুলি করে খুনের ছক এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত জামাত এবং বিএনপি-র সরাসরি মদতে ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সাংসদ ও এই ষড়যন্ত্রে শামিল। সম্প্রতিককালে বাংলাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অভিনেত্রী পরীমনিকে সামনে রেখে দেশের শিল্পপতিদের বদনাম করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। পরিমনির অভিযোগ ছিল, একাধিক শিল্পপতি নাকি তাকে ধর্ষণ করেছে। আসলে গোটা বিষয়টি পরীমনিকে সামনে রেখে সাজিয়েছিল জামাত এবং বিএনপি। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, এই একই রকম কায়দায় প্রথমে বদনাম করার চেষ্টা হয় শিল্পপতি আনভীরকে। পটিয়ার আওয়ামী লীগের সাংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম ওরফে শারুন চৌধুরীর নির্দেশে মুনিয়া নামে এক মহিলাকে আত্মহত্যায় রচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় আনভীর এর বিরুদ্ধে।
মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহানকে দিয়ে গুলশান থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করানো হয়। মুনিয়া এবং নুসরাত দু’জনেই শিল্পপতিদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতো | এই কারণে কুমিল্লার পদ্মা ব্যাংক থেকে সে চাকুরিচ্যুত হয় | একই কায়দায় পরীমনি ও শিল্পপতিদের টার্গেট করতো। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে আনভীরকে বেকায়দায় ফেলতে না পেরে খুনের ছক কষে সামশুল হক চৌধুরী এবং তার ছেলে নাজমুল করিম। প্রথমবার চেষ্টা করা হয়েছিল দুধে বিষ মিশিয়ে খুনের দ্বিতীয়বার ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে খুনের ষড়যন্ত্র হয়েছিল কিন্তু এই দুই চক্রান্ত কাজে না আসায় এবার নামাজ চলাকালীন বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল দুষ্কৃতীরা যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় পুলিশ- প্রথমে সাম্প্রদায়িক অশান্তি পাকিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার পর এবার টার্গেট বাংলাদেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার নামাজের সময় আনভীরকে গুলি করে হত্যার ছক ছিল দুষ্কৃতীদের। ওই দিনই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি মাদ্রাসা এবং এতিম খানা থেকে সাইফুল ইসলাম সাদ (২৩) নামে চট্টগ্রামের পটিয়ার এক দুষ্কৃতীকে আটক করে ভাটারা থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ জানায়, সে আসলে হিন্দু। নাম ছিল জয় কুমার দত্ত। সাংসদ সামশুল হক এবং তার ছেলে নাজমুল করিম তার ধর্মান্তরিত করে আনভীর বাড়িতে কাজ করতে পাঠায়। আসল উদ্দেশ্য ছিল রেইকি করা। পুলিশের দাবি সংসদ শামসুল এবং তার ছেলে নাজমুল দীর্ঘদিন ধরে টার্গেট করেছিল আনভীরকে। গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয় এক মহিলাকে দিয়ে। পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে মাদক নারী পাচার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।