Last Updated on June 16, 2022 12:28 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। মাঝ আকাশে মুখোমুখি দুই যাত্রীবাহী বিমান ! পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধিতে কোনও ক্রমে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা ৫০০ -র বেশী যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটে সোমবার, তুরস্কের আকাশসীমায়। সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ২৭৫ জন যাত্রী নিয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শ্রীলঙ্কার সরকারি বিমান সংস্থার বিমান ইউএল ৫০৪।
অভিযোগ তুরস্কের আকাশসীমায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আঙ্কারার ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)’ শ্রীলংকার বিমানের চালককে 33 হাজার ফুট উচ্চতা থেকে 35 হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়। এটিসি’র কথামতো শ্রীলংকার বিমানের চালক 35 হাজার ফুট উচ্চতায় বিমান নিয়ে যেতেই তিনি লক্ষ্য করেন একই উচ্চতায় তার বিমানের দিকে এগিয়ে আসছেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি যাত্রীবাহী বিমান।
শ্রীলঙ্কান পাইলটের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল ৫০০ যাত্রীর
একাধিকবার ইউএল ৫০৪ বিমানের চালক এবং সহকারি চলক আঙ্কারা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমানের উচ্চতা কমানোর অনুমতি চাইলে অবশ্যই অনুমতি তারা পাননি এ দিকে ক্রমশ তাদের বিমানের দিকে এগিয়ে আসছেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান, যাতে ২৫০ জন যাত্রী রয়েছে। একসময় দুই বিমানের মধ্যে দূরত্ব কমে দাঁড়ায় 15 মাইলের-ও কম। তখনো এটিসি ওই 35000 ফুট উচ্চতাই ধরে রাখার পরামর্শ দিলে প্রমাদ গোনেন শ্রীলংকার বিমানের চালক এবং সরকারি চালক।
তারা বুঝতে পারেন কোথাও কোনো গন্ডগোল হচ্ছে নিজেদের ঝুঁকিতে তারা 35 হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিমান 33 হাজার ফুট উচ্চতায় নামিয়ে আনেন মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য এড়ানো যায় বিধ্বংসী বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারত পাঁচশোর বেশি বিমানযাত্রীর। কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে শেষ পর্যন্ত অবতরণ করে ইউএল ৫০৪।
গোটা ঘটনায় আঙ্কারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সূত্রের খবর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে গাফিলতির কথা স্বীকার করা হয়েছে এবং শ্রীলঙ্কান পাইলটকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কিভাবে এত মারাত্মক ভুল করলেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অফিসাররা কিভাবে তাদের নজর এড়িয়ে গেল একই উচ্চতায় থাকা আরও একটি বিমান!
নিছক ভুলবশত এই কাণ্ড নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন শেষ পাওয়া খবরে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে আঙ্কারা এটিসি।