Last Updated on September 7, 2020 8:01 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। জাতীয় শিক্ষানীতি পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বতোভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করে রাজ্যের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। সোমবার সেই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েই সব রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেখানেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিতি তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই এখনই বাংলায় নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ণ করা সম্ভব নয়, খানিকটা সময়ের প্রয়োজন।
এদিনের বৈঠকের শুরুর দিকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই রাজ্যের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে যে শিক্ষানীতি রূপায়ন করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। শিক্ষার মতো একটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্র এককভাবে সিদ্ধান্ত নিল। এটা মানা যায় না। রাজ্যের মতামতকেও গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমনের মধ্যে যখন সংসদ বন্ধ ছিল, তখন একতরফাভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের তরফে তখনই কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতির প্রয়োগ ও প্রণয়নের বিরোধিতা করা হয়।কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির বিষয়, এম ফিল তুলে দেওয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিরোধিতায় সামিল হয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারকে সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুত পাঠানো হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। স্কুল ও উচ্চশিক্ষার নানা দিক খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের সেই সব আপত্তির যথাযথ কারণ বিশদে পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে ছয় সদস্যর কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী আক্ষেপের সুরে আগেই জানিয়েছিলেন, দুঃখের বিষয়, বাংলার কোনও শিক্ষাবিদকে কেন্দ্র শিক্ষানীতি সংক্রান্ত কমিটিতে রাখেইনি। এদিন মিনিট চারেকের বক্তব্য রাখেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষানীতির নামে রাজ্যের ভূমিকা কেন খর্ব করা হচ্ছে? এভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত রাজ্য কিছুতেই মানবে না। একইসঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের কথাও শিক্ষামন্ত্রী এদিন সকলকে জানান। রাজ্যের শিক্ষার যে গৌরব তা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, এই নীতির মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একদিকে বাণিজ্যিকরণ ও অন্যদিকে কেন্দ্রীয়করণ করা হচ্ছে। তা রাজ্যের পক্ষে মানা সম্ভব নয়।