Last Updated on May 25, 2023 7:18 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রাজ্যে অ্যাম্বুলেন্স দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আরও কড়া স্বাস্থ্য কমিশন। পাশাপাশি, সংকটজনক রোগীদের কম খরচে বেসরকারি পরিষেবায় চিকিৎসার বিষয় নিয়ে চলে আলোচনা। গতকাল মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে একটি বৈঠক করেন। যেখানে, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার দৌরাত্ম্য কিভাবে কমানো যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়। এবং রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে স্থায়ী সমাধানের কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান হয়। এর পাশাপাশি, বেসরকারি ক্ষেত্রে, সংকটজনক রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা কত কম খরচে দেওয়া যায়, সেই নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়।
চেয়ারম্যান জানান, ওয়ার্কশপ শেষে একটা গাইডলাইন প্রস্তুতি করে সরকারের কাছে পেশ করা হবে, যেখানে কতটা কম খরচে মানুষকে সংকটজনক রোগীদের পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। এদিন, স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা আরও কতটা মসৃণ করা যায় সেই নিয়েও কথা হয়। এছাড়াও, এদিন আলোচনায় পর জানান হয়, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রসূতি মৃত্যু কিভাবে শুন্য করা যায় সেই নিয়ে করা হবে ওয়ার্কশপ। পাশাপাশি, আগামী দিনে বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি এই তিন জেলায় সফর করা হবে এবং সচেতনতা শিবির করা হবে শ্রীঘ্রই। প্রসঙ্গত, অতিমারির সময় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার যথেচ্ছাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন একটি নির্দেশিকা দেয়।
অতিমারীর সুযোগ নিয়ে রোগীর পরিবারকে মাত্রারিক্ত ভাড়া নিয়ে রীতিমত নাকাল করে কিছু বেসরকারি হাসপাতাল। বেশ কিছু ঘটনা সামনে আসার পরই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার রাশ টানতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলকাতা এবং শহরতলীর হাসপাতালে ভর্তির জন্যে বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স দূরত্ব (কিমি) অনুযায়ী ভাড়া নেবেন এবং সেই ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
পাশাপাশি, করোনা মুক্তির পর রোগীকে নিখরচায় অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। এমন প্রস্তাব দেওয়া হয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে। পাশাপাশি, বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও কিছু বেসরকারি সংস্থা নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিয়ে থাকেন। তাদের জন্যও থাকছে কিছু বিধি নিষেধ। এয়ার কন্ডিশনার যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স প্রতি কিমিতে ২৫ টাকা এবং নন এসি অ্যাম্বুলেন্স প্রতি কিমি ২০ টাকা করে ভাড়া নিতে পারবেন। করোনা রোগীর জন্যে প্রতি ট্রিপের জন্যে পিপিই বাদব ৫০০ টাকা নেওয়া যাবে। ভেন্টিলেশনের জন্যে প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ টাকা এবং অক্সিজেন পরিষেবার জন্যে প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ টাকা করে নিতে পারবেন উক্ত সংস্থা।