Last Updated on March 23, 2023 9:42 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রাজ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আরো ডিএ এর দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হওয়া শিক্ষকদের শোকজ করা শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও প্রায় ৩০০ জন শিক্ষককে শোকজ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস বা ডিআইদের রিপোর্টের ভিত্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এখনো পর্যন্ত এই ৩০০ জন শিক্ষকের কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছে, কেন তারা গত ১০ মার্চ, ধর্মঘটের দিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শিক্ষকদের শোকজ এর উত্তর দিতে বলা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, এই নোটিস পাঠিয়েছেন পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ডিআইরা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের যে অনুপস্থিতির তালিকা পাঠিয়েছে সেই তালিকা অনুযায়ী সরকারি নির্দেশ নামাকে মেনে আমরা কাজ করছি। সরকারি নির্দেশিকাতে বলা হয়েছিল যে সকল সরকারি কর্মচারী নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত থাকবেন না তাদের শোকজ করা হবে।’
উল্লেখ্য, ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মীদের একাংশ। বাম রাম এবং কংগ্রেস জোট পরোক্ষে এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে। আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির রাহুল সিনহা কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ভাজপা বিধায়কদের দেখা গিয়েছে, একইভাবে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকেও আন্দোলনকারীদের পাশে দেখা গিয়েছে। গত ২০-২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই ৯ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। কিন্তু ওইদিন মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় ধর্মঘট একদিন পিছিয়ে ১০ মার্চ করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের কর্মবিরতি ও ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, কোনও সরকারি কর্মচারী যদি ওইদিনগুলিতে কাজে যোগ না দেন, তাঁর কর্মজীবন থেকে যেমন একটি দিন বাদ দেওয়া হবে। তেমনই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।