Last Updated on May 26, 2023 1:42 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।চলছিল মেরামতির কাজ। তার মধ্যেই ২০ বছর পর হাওড়া পরীক্ষার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিধান্ত।যদিও এই কাজের জন্য হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু কোনোভাবেই বন্ধ রাখা হবে না, সেই বিষয়টিও পরিষ্কার করে দিয়েছে পোর্ট কর্তৃপক্ষ।শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্ট এর তরফে জানা গিয়েছে,দু’দশক আগে শেষবারের মতো নিখুঁতভাবে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল।তারপর আর হয়নি। অবশেষে ফের শুরু হতে চলেছে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা।আইআইটি চেন্নাই এবং জাহাজ মন্ত্রকের অধীনস্থ এনটিসিপিডব্লিউসি যুগ্মভাবে হাওড়া ব্রিজের স্টাডিস রিপোর্ট তৈরি করছে।সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরই হেলথ অডিট শুরু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু হাওড়া ব্রিজ নয়, খিদিরপুরের বাস্কেল ব্রিজ যেভাবে মাঝেমধ্যেই সমস্যা তৈরি করে তার জন্য পরিকাঠামো বদলে মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের তরফে
।উল্লেখ্য,পোর্ট সূত্রে খবর,২০০২-০৩ সালে শেষ বারের মতো হাওড়া ব্রিজের স্টাডিজ রিপোর্ট তৈরি করে ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল।সেই সময় এই ব্রিজের তেমন কোন খুঁত পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ছোটখাটো যানবাহন থেকে শুরু করে ভারী যানবাহনের যাতায়াতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।সেই কারণে লোহার কাঠামো এবং হাওড়া ব্রিজ যে স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে আছে তা খতিয়ে দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হিসাব বলছে, হাওড়া সেতুর ওপর দিয়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মিনিটে ৫৫০ টি গাড়ি যায়।তাই এটার গুরুত্ব অন্যান্য সেতুর তুলনায় সর্বাধিক।বর্তমানে গাড়ির চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
যে কারণে শতাব্দী প্রাচীন এই হাওড়া ব্রিজের অবস্থা কি রকম রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।মূলত হাওড়া ব্রিজের লোহার কাঠামোকে প্রতিটি কোনা এবং অন্যান্য অংশ বিশেষকে পরীক্ষা করাই এই স্বাস্থ্য অডিটের মূল উদ্দেশ্য। আইআইটি চেন্নাই দেশের বিভিন্ন বৃহত্তম সেতুগুলির স্বাস্থ্য অডিট করে থাকে। তাই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদেরই এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই হাওড়া ব্রিজের ভার কমাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।প্রসঙ্গত,১৯৪৩ সালে চালু হওয়া হাওড়া সেতু ‘ব্যালান্সড ক্যান্টিলিভার ব্রিজ’-এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ১৮৭০ সালে কলকাতা বন্দর তৈরি হওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ ওই সেতু নির্মাণের কথা ভাবলেও গঙ্গার মতো নদীতে স্তম্ভ ছাড়া সেতু নির্মাণের বিশেষ প্রযুক্তি খুঁজতেই দীর্ঘ সময় লেগেছে। সেতুর পরিকল্পনা এবং নকশা তৈরি করেছিল সেই সময়ের ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সংস্থা ‘র্যান্ডেল, পালমের এবং ট্রিটন’।