টানা ১৭ বছর ধরে ইসকনের ঐতিহ্যের ঢাকায় রং ভরছেন শিল্পী ফারুখ

0

৩৬৫ দিন। দীর্ঘ ১৭ বছর। ঐতিহ্যের ঢাকায় রং ভরছেন শিল্পী ফারুখ। প্রতিবারের মত এবারও অন্যথা হল না। মাঝে দু বছর অবশ্য বাধ সেধেছিল করোনা। কিন্তু, সেসব বাধা পেরিয়ে দিন তিনেক আগেই ইসকনের রথের চাকায় শেষ রং তুলি ধরলেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে ইসকনের তরফ থেকে রাধারমন দাস জানান, শিল্পের কোন ধর্ম হয় না। উনার কাজ খুবই ভাল। আর, সেই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ, শুক্রবার ছিল রথযাত্রা। প্রতিবারের মত এবারও রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন করে ইসকন কর্তৃপক্ষ। আরতি করে এবং রথের দড়ি টেনে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কথিত আছে, এদিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা মাসীর বাড়ি যাত্রা করে। ঠিক, এক সপ্তাহ পর আবার উল্টো রথে নিজগৃহে ফিরে আসেন তিন ভাইবোন। এদিন, মিন্টো পার্কের কাছে ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয় যাত্রা। ৮ দিন পরে আবার ইসকন আলবার্ট রোডের মন্দিরে ফিরে যাবে রথ। ২০২১ সালে কলকাতা ইসকন রথযাত্রার সুবর্ণ জয়ন্তী ছিল। ১৯৭২ সালে কলকাতায় প্রথম রথযাত্রার আয়োজন করেছিল ইসকন। তারপর থেকে পুরীর পর কলকাতার ইসকন রথযাত্রা দ্বিতীয় বড় রথ উৎসব বলে গণ্য হয়।

রথযাত্রা উপলক্ষে ৮ দিন ব্যাপী বিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে চলবে মেলা। দুপুর সাড়ে ৩ টে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। এবং মানুষ মেলা ঘরার পাশাপাশি দর্শন করতে পারবেন জগন্নাথ দেব। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ এই রথ উৎসবে সামিল হন। গতকাল, করোনা ভয় কাটিয়ে শহরে শুরু হয় রথ মেলা। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছে যাওয়ার পর দর্শনার্থীদের প্রসাদ বিলি করা হয়।

ইসকন রথের বেশ কিছু আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। বলদেবের রথ উচ্চতায় সবথেকে বড়। ৩৮ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট চওড়া। সুভদ্রা দেবীর রথ সবথেকে ছোট। লোহার চাকা। জগন্নাথের রথ বলদেবের থেকে ছোট এবং সুভদ্রার থেকে বড়। ৩৬ ফুট উচ্চতার, ১৭ ফুট চওড়া।

উল্টো রথে দিন, ৯ তারিখ দুপুর ১২ টা নাগাদ পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে শুরু হবে যাত্রা। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড, জে এল নেহেরু রোড, দরিনা ক্রসিং, এস এন ব্যানার্জি রোড, মৌলালি ক্রসিং, সি আই টি রোড, পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট ক্রসিং, শেক্সপিয়র সরণি, হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিট, ইসকন মন্দির। এই যাত্রাপথে মানুষ থাকতে পারবেন। দর্শন করতে পারবেন। ফুল এবং ফলের অঞ্জলী দিতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here