ব্লাড ব্যাংকের নামে প্রতারণা,গ্রেফতার অভিযুক্ত

0

৩৬৫ দিন।সাধারণ মানুষের রক্তের প্রয়োজন পড়লে এক বা দেড় হাজার টাকায় সেই রক্ত বিক্রি করা হত।এমনই অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এই ভাবে দিনের পর দিন একটি চক্র চালানো হত বলে জানা গিয়েছে।মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত ও প্লাজমা তুলে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রে আর কে কে যুক্ত আছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

অভিযোগ,রক্ত লাগবে এমন ভুয়ো রিকুইজিশন তৈরি করা হত, ভুয়ো ডোনার কার্ডও তৈরি করা হত।সেগুলি দিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেক তোলা হত রক্ত। এরপর সাধারণ ফ্রিজে রাখা হত সেই রক্ত।যাঁরা প্রয়োজনে রক্ত পেতেন না,ব্লাড ব্যাঙ্কের দরজায় দরজায় ঘরেও সুরাহা হত না,তাঁদের রক্ত বিক্রি করতেন ওই অভিযুক্ত।বৃহস্পতিবার অনুপম ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

অভিযোগ,সম্প্রতি এমন অনেক রোগীর পরিবারকে এ ভাবে রক্ত কিনতে হয়েছে।বেশ কয়েকজন এই অভিযোগ জানান মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর স্বপন সোরেনকে।এরপর স্বপন সোরেন মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে,সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে বিনা পয়সায় রক্ত আর প্লাজমা তুলে ব্যবসা করা হত।

রক্ত ১৫০০ টাকায় আর আরও চড়া দামে প্লাজমা বিক্রি করতেন ওই অভিযুক্ত।যেখানে -৫১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এগুলি রাখার কথা,সেখানে বাড়ির ফ্রিজে এগুলি দিনের পর দিন রেখে বিক্রি করতে অনুপম।এর ফলে রক্তের গুনগত মান কেমন থাকত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here