Last Updated on June 25, 2022 5:34 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। আবারও সেই বছর খানেক আগের ছবি। শুধুমাত্র উইকএন্ড নয়, সাধারণ দিনেও টিকা কেন্দ্রে লম্বা লাইন। জুন থেকেই লাফিয়ে বেড়েছে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ থেকে একলাফে সোজা ১০০ শতাংশেও। সরকারি কেন্দ্র গুলিতেও একই অবস্থা। কারণ ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, এর মূলত দুটি কারণ।
এক, হঠাৎ করেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া। এবং সরকারের ডোর টু ডোর ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন। জুনের প্রথম সপ্তাহে টিকা কেন্দ্রগুলিতে যা গ্রহীতা ছিল তা ধাপে ধাপে বেড়েছে প্রায় তিনগুণ পর্যন্ত। বর্তমানে, ১৮-৫৯ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি টিকা কেন্দ্রে। ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ যারা নেননি তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছিল।
সরকারিভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে প্রবীণ নাগরিক, স্বাস্থ্য কর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। সেই তুলনায় বেসরকারি জায়গায় একেবারে নিম্নে পৌঁছে গিয়েছিল টিকা নেওয়ার প্রবণতা। সেখান থেকে এখন অনেকটাই বেড়েছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দৈনিক হিসেবে, ৫০ এরও কম মানুষ টিকা নিচ্ছিলেন। গ্রহীতার অভাবে অর্ধেকের কম দামে ভ্যাকসিন বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন বেশ কিছু সংস্থা। এমনকি, জমে থাকা ভ্যাকসিন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কায় রীতিমত চিন্তায় ছিলেন হাসপাতালের কর্তারা।
প্রসঙ্গত, নয় মাসের বদলে ছয় মাসেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রের করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। বর্তমানে ১৮ উর্দ্ধে এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯ মাস সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র গত ৮ এপ্রিল ঘোষণা করে, ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ উর্দ্ধে সকলেই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, এতদিন কোভ্যাকসিন এবং কভিশিল্ড দিয়েই চলছিল বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া।
এবার, ভিন্নধর্মী কিংবা মিশ্র ভ্যাকসিনেও অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। অর্থাৎ, প্রথম দুটি ডোজ কোভ্যাকসিন অথবা কভিশিল্ড হলেও তৃতীয় ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্স। ভারতে মিশ্র ভ্যাকসিনের অনুমতি এই প্রথমবার।