Last Updated on March 17, 2023 2:36 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। দিন কয়েক আগে পর্যন্ত, রামবাবুর বাড়িতে রবিবাসরীয় দুপুর মানেই ছিল মাটন কষা, মাটন কর্মা কিংবা সাদামাটা পাঁঠার ঝোল। কিন্তু, দামের ঠেলায় মাটন এখন কোণঠাসা। জায়গা করে নিয়েছে চিকেন। তবে, রামবাবু নয়, শহরের আর পাঁচটা বাড়ির গল্পটা ঠিক একইরকম। কিন্তু, সেই চিকেনও যে এবার দামী! দাম পৌঁছল ৩০০ র দোরগোড়ায়। কোথাও ২৭০ আবার কোথাও ২৮০ টাকা কেজি। কিন্তু, এমন দাম বৃদ্ধির কারণ কি? মধ্যবিত্তের রোজগেরে মেনু থেকে এবার কি তাহলে বাদ যাবে চিকেন? উত্তর ব্যবসায়ীদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর পিছনের রয়েছে চিকেন-মাটন সম্পর্ক। ঠিক কেমন? ব্যবসায়ী অনুজবাবু পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে জানান, ইউপি থেকে রাজ্যে মাটনের সিংহভাগ যোগান আসে। কিন্তু, একপক্ষের ক্রমাগত মদতে, সেখানে বাড়ানো হচ্ছে মাটনের চাহিদা। কারণে, স্থানীয় মাংসের বাজার ক্রমাগত কমিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে কৌশলে। যে কারণে, সেখানের স্থানীয় মানুষরা ভরসা রাখছেন মাটনে। ফলে, সেখানে মাটন যোগান সীমিত হয়ে পড়ছে, দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই এ রাজ্যেও যোগান এবং দাম বেশির অবস্থা টালমাটাল।
এখানেই শেষ নয়। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকা মাটন কিছুটা হলেও ক্রেতা হারাচ্ছে। যার কারণে সেই সমস্ত মানুষ ঝুঁকছেন চিকেনের দিকে। একধাক্কায় হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে চাহিদা। মানুষের চাহিদা দেখে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। সেই কারণে ১৮০ টাকা থেকে চিকেন বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২৮০ টাকা কেজিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে দোলের সময় চিকেন পৌঁছে গিয়েছিল কেজি প্রতি ২৫০ টাকায়। সেই দাম দিন দুয়েক নামলেও আবার বেড়ে পৌঁছে যায় ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। অন্যদিকে, রমজানের আর কদিন বাকি। আর, সেই সময়ই সূর্য ডুবলেই দোকানে দোকানে সাধারণত চিকেন টিক্কা, রকমারি কাবাবের হাঁক ডাক শুরু হয় যায়। বিক্ষিপ্তভাবে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হয় মুরগির মাংস। কারণ হিসেবে একদল ব্যবসায়ীর বক্তব্য, রমজানের সময় এমনিতেই চাহিদা বেশি থাকে। তার উপর মাঝে মধ্যেই বাজারে কম আসে যোগান। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই পরিমাণ কমলে দাম বাড়বেই।