Last Updated on October 24, 2022 7:31 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। হিমঘরের জবাতে ভরছে বাজার। কালীপুজোর আগে একধাক্কায় বাড়ে চাহিদা। আর, সেই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে আগে থেকেই মজুত করা হয় কুঁড়ি। প্রয়োজন মত সেগুলোকেই বের করে বিক্রি করা হয় চড়া দামে।এবারও, অন্যথা হল না। এমনিতেই দীপাবলির আগে ফুল বাজারে অগ্নিমূল্য জবা। কালীপুজোয় আবশ্যিক লাল জবা। আর, সেই কারণেই বাড়ছে দাম। গতকাল, শুক্রবার কলকাতার ফুল বাজারে জবার প্যাকেট (১০০০ টি কুঁড়ি) বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। শেষ মুহূর্তে গিয়ে আরও বাড়তে পারে দাম।
এই প্রসঙ্গে সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, আজ, শুক্রবার জবা বিক্রি হয়েছে এক হাজারটি কুড়ি ৫০০ টাকায়। যদিও এই পুজোর জন্য ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ফুল হিমঘরে রেখেছে। সাধারণ সময়ে জবার প্যাকেট (১০০০ কুঁড়ি) দাম থাকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। নারায়ন বাবু জানান, চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় এই প্যাকেট বিক্রি হয়েছে ১০০০ টাকায়। সবমিলিয়ে, বাজারে জবা ফুলের চাহিদা প্রচুর।
তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মূলত দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়া, এই পাঁচ জেলাতেই জবার সর্বাধিক চাষ হয়। প্রসঙ্গত, গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে সবথেকে বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এই জেলাগুলি। অন্যান্য ফুলের মত ক্ষতিগ্রস্থ হয় জবা ফুলও। একদিনে চাহিদা সবথেকে বেশি থাকার কারণে এখন থেকেই ব্যবসায়ীরা হিমঘরে মজুত করতে শুরু করেছে কুঁড়ি। যা পুজোর আগে বের করে বিক্রি করা হবে। যদিও, এখন দুর্যোগ কমেছে। শীত এখনও পড়েনি সেভাবে (শীতে ফলন কমে যায়)।
অন্যদিকে, কালীপুজোয় জবা ফুল আবশ্যিক হলেও প্রয়োজন রয়েছে অন্যান্য ফুলেরও। বাজারে বাড়ছে গাঁদা, দোপাটির দামও। এর আগে দুর্গা ষষ্ঠীতে ফুলের বাজার ছিল বেশ চড়া। রাজ্যের বৃহত্তম ফুলবাজার কলকাতার মল্লিক ঘাটে ষষ্ঠীর দিন টাটকা পদ্ম বিক্রি হয় ১৮ থেকে ২০ টাকা প্রতি পিস। হিমঘরে রাখা পদ্ম বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ টাকা।
এই প্রসঙ্গে সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, দুর্গাপুজোর সময় একসঙ্গে ফুলের চাহিদা একলাফে বেড়ে যায়। সেই কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি। তবে, এ বছর বন্যা বা অন্য প্রাকৃতিক বড় দুর্যোগ না থাকায় ফুলের উৎপাদন ভালো। সারা রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে ভিন রাজ্যে ফুল পাঠানো হয়।