Last Updated on September 18, 2023 7:12 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। আজ বিশ্বকর্মা পুজো। আর তাই রাস্তার ফুটপাত ধরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সাইজের বিশ্বকর্মার প্রতিমা। পাড়ায় পাড়ায় বেড়েছে পুজোর সংখ্যা । রাস্তার ধারে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ।এরই মধ্যে দোকান বাজার ভর্তি পুজোর সামগ্রিতে। তবে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নজর কাড়ছে রঙ বেরঙের ঘুড়ি। সঙ্গে রয়েছে লাটাই ও মাঞ্জা। লাল, নীল, বেগুনি বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি বিকোচ্ছে মহাসমারোহে।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সকাল থেকে আকাশ ছেয়ে যাবে রঙ বেরঙের ঘুড়িতে। কেউ কেউ বাড়ির ছাদ থেকে আবার কেউ পাড়ার মাঠ থেকে মেতে উঠবে খেলায়। কোথাও কোথাও আবার ঘুড়ি ওড়ানো রূপ নেবে প্রতিযোগিতায়। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘুড়ির চাহিদা বেশ বাড়ে। তবে করোনা মহামারির জেরে গত কয়েক বছর বাজারে দেখা দিয়েছিল মন্দা। এবছর মন্দা অনেকটাই কেটেছে। তবে সময়ের সাথে সাথে ঘুড়ির চাহিদাও কমেছে বেশ কিছুটা। এই বিষয়ে অভিবা কাইটস-এর মালিক বাপ্পাদিত্য দত্ত জানিয়েছেন, ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে তবে মানুষের মধ্যে আগের মতো সেই উচ্ছ্বাস আর নেই ।
তার দাবি এখন পড়াশোনার চাপে বাচ্চাদের থেকে ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে আনন্দটাই মুছে যাচ্ছে। খেলাটা এখন মোবাইলের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে। তাই হাতে ঘুড়ি লাটাই নিয়ে খেলতে বেরনোর আগ্রহ তাদের মধ্যে জাগছে না। তবে এসবের মধ্যেও অনেকে আসছেন ঘুড়ি কিনছেন। পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা, পংক্ষীদার নানা রকম ঘুড়ি দিয়ে সাজানো এই দোকানটি। এক একটি ঘুড়ির এক একরকম দাম। শুরু হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মাঞ্জা ২০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৫০০ টাকা অব্দি দাম রয়েছে। তার মধ্যে এক একটি ঘুড়িতে স্মাইলি আবার কোনটিতে কার্টুন, তারা আঁকা রয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, সারা বছরই অল্প স্বল্প বিক্রি বাট্টা হয়।
তবে স্বাধীনতা দিবস ও বিশ্বকর্মা পুজোই তাদের আসল দিন। এইসব ঘুড়ি গুলিই তৈরী হয় কলকাতাতে। ঘুড়ি কিনতে এসে এক ক্রেতা জানালেন, বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ছুটি আর ঘুড়ি লাটাই কেনার বায়না। আগে তো রাত জেগে চলত ঘুড়িতে মাঞ্জা দেওয়া। এখন তো সেই ক্রেজটাই নেই।এখন যারা ঘুড়ি ওড়াতে ভালোবাসেন তারা প্রায় সবটাই কিনে নেয় ।আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সকাল থেকেই আকাশ ভরে যেত ঘুড়িতে। এখন আর সেটা হয় না। তবে ঘুড়ির প্রতিযোগিতা বা ওড়ানো কমে গেলেও এখনও মুছে যায়নি।