Last Updated on May 8, 2023 12:32 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ঘূর্ণিঝড়ের আগমন নিয়ে যখন জোর জল্পনা, ঠিক সেই ফাঁকেই শহরের তাপমাত্রা বেড়ে পৌঁছল প্রায় ৪০ এর কাছাকাছি। এদিকে, আজ, সোমবার নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণাবর্ত। বুধবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে নিম্নচাপটি।নিম্নচাপের পরই ঝড়ের গতিপথ নির্ধারণের বিষয়টি স্পষ্ট করবে আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ, সোমবার ঘূর্ণিঝড় মোখার অভিমুখ এবং ল্যান্ডফল সম্পর্কে সম্ভাব্য পূর্বাভাস জানা যাবে। একদল বিজ্ঞানীদের গুঞ্জন, ঝড়টি মায়ানমার অভিমুখে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। এ প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে কোন স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার পরই একমাত্র স্পষ্ট করে বলা সম্ভব হবে।
এখনও পর্যন্ত সুন্দরবন ও সাগরের কোন প্রভাব পড়ার সম্ভবনা নেই।অন্যদিকে, শহরের আরও তীব্র হচ্ছে খরতাপ। আরও একবার পূর্বের অবস্থা দেখা গিয়েছে। যেখানে, ৪০ ছুঁইছুঁই কলকাতার তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, গতকাল আলিপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী ৫ দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় কোথাও সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত, শুষ্ক আবহাওয়া। আগামী ৩ দিনে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গে হালকা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। প্রসঙ্গত, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে সোমবার।
৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ১২ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে ইয়াস এবং আম্ফানের মত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে রাজ্যবাসী। আম্ফানে তীব্রতা বেশি থাকায় কার্যত তছনছ হয় কলকাতা সহ উপকূলের জেলাগুলি। ইয়াসেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে উপকূলে। সবমিলিয়ে, এবার ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ কোনদিকে সেই নিয়ে চিন্তায় বঙ্গবাসী। এর আগে অশনি ঘূর্ণিঝড় সাগরেই বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস যায় দক্ষিণ ভারতের দিকে। ফলে বঙ্গের ফাঁড়া কাটে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংএর অভিমুখ পরিবর্তন করায় ঘূর্ণিঝড়ের ফাঁড়া কাটে। বাংলাদেশ উপকূল, তিনকোনা দ্বীপ এবং সন্দ্বীপের মাঝামাঝি বরিশালের পাশে লান্ডফল হয়।