৩৬৫ দিন।ডেঙ্গু বাড়ছে কলকাতায়।মূলত বাড়ছে এডেড এরিয়াতে।যেমন ১২৪ নম্বর ওয়ার্ড,১২৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের অভিযোগ উঠে এসেছে।এ নিয়ে শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান,গ্রাম এলাকায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বাড়ছে।শহরের ‘অ্যাডেড এরিয়া’গুলিতেও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।
এদিকে,ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ গুলি সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করল রাজ্য সরকার।শুক্রবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকেরা।এদিনের বৈঠকে ডেঙ্গু সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে জারি নানান নির্দেশিকা।শুক্রবারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেগুলি হল,
১.করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ফের ক্লাসরুমে ফিরেছে পড়ুয়ারা। তাই স্কুল চত্বরে যাতে কোনওরকম জল জমতে না পারে, সেদিকে শিক্ষা দফতরকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২.জেলার যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার কথা শোনা যাচ্ছে সেখানে নিয়মিত গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে জেলাশাসকদের।
৩.বৃষ্টির জেরে কোথাও যেন জল না জমে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৪.যদি কোথাও জল জমে থাকে তবে তা অবিলম্বে সরানোর বন্দোবস্ত করতে হবে।
৫.মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেক্ষেত্রে পথেঘাটে ব্লিচিং পাউডার-সহ অন্যান্য মশানাশক রাসায়নিক ছড়ানোর বন্দোবস্ত করতে হবে।
৬.মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ – এই দুই জেলা থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই ওই দুই জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
৭.সেচ দফতরের যে নালা রয়েছে, সেখানে যাতে জলপ্রবাহে অসুবিধা না হয়, জল জমে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৮.নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
৯.সাধারণ মানুষের সতর্কতা বাড়াতে পুরকর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া নিয়ে প্রচার করতে হবে।তবে মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।