Last Updated on February 17, 2023 7:19 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। হাওয়া বদল! আর, এর মাঝেই সক্রিয় ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার ঝাঁক। ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর সর্দি কাশি। সেই প্রভাবই দেখা যাচ্ছে ওষুধের দোকানে। অনেকটাই বেড়েছে অ্যান্টি বায়োটিক এবং কাফ সিরাপের চাহিদা।এছাড়াও, রয়েছে জ্বরের ওষুধের চাহিদা। রবীন্দ্র সদনে এক দোকানি জানাচ্ছেন, সিজন চেঞ্জের সময় এই ঘটনা প্রতিবারই দেখা যায়। এবারও, অন্যথা হয়নি। তবে, হুড়মুড়িয়ে নয়। স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে বিক্রি। ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মত বেড়েছে বিক্রি। বিক্রেতা রাজীব ঘোষ দস্তিদার জানাচ্ছেন, আগের থেকে ওষুধের চাহিদা বেড়েছে ঠিকই। বিশেষ করে জ্বরের ওষুধ। তবে, সেটা এখনও মাত্রারিক্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তিনি আরও জানান, বছর খানেক আগে ওমিক্রিন আসার সময় মানুষ হুড়মুড়িয়ে ওষুধ কিনেছেন। ফলে, অন্যজন পাননি। একটা সংকট তৈরি হয়। কিন্তু, এখন সেটা দেখা যায়নি।
এদিকে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে অ্যান্টি বায়োটিক খাওয়ায় একটা প্রবণতা দেখা যায়। সামান্য জ্বর, সর্দিতেই বিনা চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই প্রবণতা যথেষ্ট ক্ষতিকর। উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতে জ্বরের ওষুধ, মাস্ক, কাফ সিরাপ, অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট মজুতের হিড়িক পড়েছিল। সেই সময় এক দোকানি জানান, এখন নমুনা পরীক্ষায় অনেক নিয়ম কানুন করা হয়েছে। সকলে চাইলেই করতে পারছেন না। কিন্তু, এই কিটে খুব সহজেই বাড়িতে যে কেউ পরীক্ষা করে জেনে নিতে পারবেন। রেজাল্টও জানা যায় মাত্র কয়েক মিনিটে। একইসঙ্গে, সেই সময় কাশির সিরাপ কেনার হুজুগও বেড়ে যায়। এক ক্রেতার কথায়, করোনাতে জ্বরের সঙ্গে সর্দি এবং কাশি থাকছেই। বিশেষ করে কাশি থাকছে একটানা। ফলে, এই সিরাপ তো লাগবেই। কিনে নিচ্ছি বাড়ির সকলের জন্যেই। এক বিক্রেতা জানান, কিছুদিন আগে জ্বরের ওষুধ নিয়ে হুড়োহুড়ি হচ্ছিল। এখন হচ্ছে কাশির সিরাপ নিয়ে।