Last Updated on March 19, 2023 1:08 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শাওন গগনে ঘোরও ঘনঘটা! যদিও, শ্রাবণ আসতে ঢের দেরী। তার আগেই রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে চলল বৃষ্টি-বাদলের মহড়া। জলমগ্ন পথঘাট। একটানা ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি নয়। তবে, আকাশ জুড়ে কালো চাদর। কারণ, জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এমত অবস্থা জারি থাকবে আরও কয়েকদিন। সোমবার পর্যন্ত পূর্বাভাস থাকলেও বরং, বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির রেশ চলবে আরও কয়েকদিন। আলিপুরের আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, দক্ষিণ পশ্চিম রাজস্থান এবং সন্নিহিত এলাকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গিয়েছে যেটি। যে কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে সমতলে। দফতর এক বুলেটিন প্রকাশ করে জানায়, ১৯ তারিখও একইরকম থাকবে আবহাওয়া। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ তারিখ হলুদ সতর্কতা। ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার একে একে জেলায় নেমেছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বয়েছে ঝোড়ো দমকা হাওয়া। বাদ ছিল না কলকাতাও। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার জন্যে ছিল কমলা সতর্কতা। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বৃষ্টি। বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলে। এরপর, ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। থাকছে হলুদ সতর্কতা। ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে ঝোড়ো হাওয়া। শহর ছাড়াও পুরুলিয়া, বর্ধমান, নদীয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, হুগলী, হাওড়া, জেলাতেও বৃষ্টি হয় এদিন। বাঁকুড়া, হলদিয়া, শ্রীনিকেতন, নদীয়া জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে দফায় দফায়। সিকিম সহ বেশ কিছু পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হয়। ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টি। আর, এইসবের মধ্যে বেশ কিছু সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দফতর জানায়, শস্যের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা।